আয়াতুল কুরসি'র ফজিলত

আয়াতুল কুরসি'র ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন'এর দ্বিতীয় সুরা আল বাকারার ২৫৫তম আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি। এ আয়াতে যে মহামূল্যবান ১০টি বাক্য রয়েছে তার প্রতিটিতে আল্লাহর ক্ষমতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। আয়াতুল কুরসি পাঠে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ সাধিত হয়। এ আয়াতের বরকতে বিভিন্ন বিপদ-আপদে আল্লাহর রহমত অর্জন করা যায়।

আয়াতুল কুরসিতে বলা হয়েছে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোনো তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব তাঁরই মালিকানাধীন।

তাঁর হুকুম ছাড়া এমন কে আছে যে তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারে? তাদের সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে সবই তিনি জানেন।  

একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত উবাই ইবনে কাবকে জিজ্ঞাসা করলেন সবচেয়ে ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আয়াত কোনটি? উবাই ইবনে কাব আরজ করলেন, তা হচ্ছে আয়াতুল কুরসি। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা সমর্থন করলেন এবং বললেন, হে আবুল মানজার! তোমাকে এ উত্তম জ্ঞানের জন্য ধন্যবাদ। মুসনাদে আহমাদ।

উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কসম! যার হাতে আমার প্রাণ আয়াতুল কুরসির একটি জিব ও দুটি ঠোঁট রয়েছে এটি আরশের পায়ার কাছে আল্লাহর প্রশংসা করতে থাকবে। মুসনাদে আহমাদ।

আবু উমামা (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ সালাত শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। আল জামে।

আরও পড়ুন:

যে সব ব্যক্তিরা কোরবানী করতে পারবেন

পশ্চিম ইউরোপে ভয়াবহ বন্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কী কারণে জ্ঞান হারিয়েছিলেন কারিনা!

হজরত আলী (রা.) বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে, প্রতিবেশীর ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। বায়হাকি।

শয়নকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হতে না পারে। বুখারি।

news24bd.tv রিমু

এই রকম আরও টপিক