মানুষের অধিকার মানবাধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারগুলো সুস্পষ্টভাবে সন্নিবেশিত আছে। কারোর ক্ষেত্রেই এই অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করা যাবে না। মানবাধিকারসহ আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটি বলেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংবিধানের ২৭ থেকে ৪৩ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকারের সুরক্ষার বিষয়টি রয়েছে। তিনি বলেন, অপরাধ সংঘটনের সময়কালে যে আইনটি বলবত ছিল- সেই অনুসারে বিচার এবং দণ্ড প্রদান করতে হবে। সংবিধানের ৩৫ (১) ধারায় তা বলা আছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, '১৯৯৫ সালের নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে যদি বলা থাকে এই অপরাধের সাজা মৃত্যুদণ্ড।
যদি কোনো ব্যক্তি ফৌজদারি কোনো অপরাধ করে সে ক্ষেত্রে সে জন্য একবারই তাকে বিচারে সোপর্দ করা এবং সাজা দেওয়া যাবে বলেও তিনি জানান। এ ক্ষেত্রে তিনি সংবিধানের ৩৫ (২) ধারার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ওই একই অপরাধের জন্য যদি একই সময়ে সংগঠিত হয়ে থাকে তাহলে কোনো অবস্থাতেই তাকে দ্বিতীয়বার বিচারের আওতায় সোপর্দ করা যাবে না, তাকে দণ্ডও দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:
দক্ষিণাঞ্চলে হবে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: শেখ হাসিনা
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতির বাসায় ককটেল হামলার অভিযোগ
বিএফইউজের নির্বাচন আয়োজনে আর বাধা নেই
অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন বলেন, 'আমরা মাঝে মধ্যে দেখি একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বারও একই রকম প্রসিকিউড হচ্ছে অর্থাৎ আইনের কাছে সোপর্দ হচ্ছে। পুলিশ ল-এনফোর্সিং এজেন্সি তাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাচ্ছে। ' তিনি আদালতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'যদি দেখা যায় সেকেন্ড অপরাধ না ঘটার পরেও আগের একমাত্র অপরাধকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয়বার মামলা হয়েছে তাহলে কোর্ট আমলে নেয় প্রথমটাকে। প্রথম মামলাটাকেই কন্টিনিউ করে দ্বিতীয় মামলাকে কোয়াশ করে দেয় বা বাদ করে দিয়ে প্রথমটাকে নিয়েই অগ্রসর হতে থাকে। '
অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু আরো বলেন, যে অপরাধ ব্যক্তি করে নাই সেটা তাঁর মুখ দিয়ে আমরা জোর করে বাধ্য করতে পারি না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি যেটা বলতে ইচ্ছুক না সেই কথাগুলো, সেই অপরাধগুলো তাঁর মুখ দিয়ে আমরা জোর করে বাধ্য করতে পারি না। এটা সবিধানের ৩৫ (৩) -এ বাধিত। একইভাবে থানায় বা অন্য যেকোনো সেন্টারে নিয়ে নির্যাতন করা যাবে না। এ বিষয়ে ৩৫ (৪) অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে উচ্চ আদালতে গিয়ে মামলা ফাইল করে তাঁর প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারে।
news24bd.tv নাজিম
অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন বলেন, 'আমরা মাঝে মধ্যে দেখি একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বারও একই রকম প্রসিকিউড হচ্ছে অর্থাৎ আইনের কাছে সোপর্দ হচ্ছে। পুলিশ ল-এনফোর্সিং এজেন্সি তাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাচ্ছে। ' তিনি আদালতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'যদি দেখা যায় সেকেন্ড অপরাধ না ঘটার পরেও আগের একমাত্র অপরাধকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয়বার মামলা হয়েছে তাহলে কোর্ট আমলে নেয় প্রথমটাকে। প্রথম মামলাটাকেই কন্টিনিউ করে দ্বিতীয় মামলাকে কোয়াশ করে দেয় বা বাদ করে দিয়ে প্রথমটাকে নিয়েই অগ্রসর হতে থাকে। '
অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু আরো বলেন, যে অপরাধ ব্যক্তি করে নাই সেটা তাঁর মুখ দিয়ে আমরা জোর করে বাধ্য করতে পারি না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি যেটা বলতে ইচ্ছুক না সেই কথাগুলো, সেই অপরাধগুলো তাঁর মুখ দিয়ে আমরা জোর করে বাধ্য করতে পারি না। এটা সবিধানের ৩৫ (৩) -এ বাধিত। একইভাবে থানায় বা অন্য যেকোনো সেন্টারে নিয়ে নির্যাতন করা যাবে না। এ বিষয়ে ৩৫ (৪) অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে উচ্চ আদালতে গিয়ে মামলা ফাইল করে তাঁর প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারে।