দুনিয়াতে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় দুইশ কোটি। আর ইহুদিদের সংখ্যা কতো বলতে পারেন? —মাত্র দেড় কোটি। অর্থাৎ ঢাকা শহরে যতোগুলো মানুষ বাস করে, সারা দুনিয়াতে ইহুদিদের সংখ্যা তারচেয়েও কম।
সারা মুসলিমবিশ্বে যে মানের বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা হয়, তারচেয়ে অনেক উন্নত ও ইমপ্যাক্টফুল গবেষণা হয় শুধুমাত্র ইসরাইলে।
ইহুদি ধর্মের বংশদ্ভুত দেড়শোর বেশি বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। দেড় কোটি জনগোষ্ঠির মধ্যে দেড়শোর বেশি নোবেল বিজয়ী! আর দুইশ কোটি মুসলমান থেকে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে ডজন খানেক। তাও প্রায় সবই শান্তি ও সাহিত্যে। বিজ্ঞানে মাত্র তিনজন।
আপনি যদি মনে করেন ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্রের কারণে মুসলিমরা নোবেল পুরস্কার পাচ্ছে না—তাহলে এই লেখার বাকি অংশ পড়ার দরকার নেই। ছয় বাহু বিশিষ্ট ষড়-যন্ত্রটি নিয়েই থাকুন।
ইহুদিরা ঐতিহাসিকভাবেই শিক্ষামুখী। জ্ঞানমুখী। জ্ঞানের সাথে বেইমানি করা, ধান্দাবাজি করা—ইহুদিদের রক্তে নাই। ইসরাইলের স্থপতি কাইম ভাইজম্যান তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। একটা দেশ গড়ার আগেই তিনি সেখানে ইউনিভার্সিটি গড়েছিলেন—সে অঞ্চলের ইহুদিদের উচ্চশিক্ষার জন্য। দেশ হওয়ার পর তিনি ধরে ধরে ইউরোপ থেকে ইহুদি বিজ্ঞানীদের নিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথেও দুইজন ইহুদি মিশে আছে। একজনের নাম পি. জে. হার্টগ—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি। অন্যজন, লুই আই কান—সংসদভবনের স্থপতি। পি. জে. হার্টগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ভিসি। তিনি একশো বছর আগে যে সকল কাজ করতেন, সেগুলো করতো অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ, হার্ভাড, প্রিন্সটনের ভিসি কিংবা প্রেসিডেন্টরা। পি. জে. হার্টগ ইহুদি ছিলেন। অবাঙালি ছিলেন। অভারতীয় ছিলেন। কিন্তু শিক্ষার সাথে, কর্মের সাথে, দায়িত্বের সাথে এতটুকু বেইমানি করেন নাই।
দুইশ কোটি মুসলিম জনগোষ্ঠির দেশে দশটা বিশ্বসেরা ইউনিভার্সিটি নাই—ভাবা যায়! মুসলমানরা জ্ঞান-গবেষণা থেকে অনেক দূরে। প্রকৃত শিক্ষা থেকে দূরে। এতো দূরে চলে গেছে যে তাদেরকে জাগানো সহজ নয়। মুসলিম দেশগুলোতে জ্ঞানীদেরকে আক্রমন করা হয়। জ্ঞানীদের কদর নাই। প্রফেসর আব্দুস সালাম, যিনি মুসলিমবিশ্বের একমাত্র নোবেল বিজয়ী পদার্থবিদ, তাকে পর্যন্ত বেইজ্জতি করা হয়ছে শুধুমাত্র আহমদিয়া বলে।
আরও পড়ুন:
সেই স্কুলছাত্রীকে দিহানের ‘পাশবিক নির্যাতনে’ মৃত্যু
নাচের তালে দর্শকের হৃদয়ে কম্পন ধরালো নোরা
এক হাজার বছর আগে এই জনগোষ্ঠির মধ্যে জ্ঞান-গবেষণার এক এনলাইটেন যুগের উদ্ভব হয়েছিলো। সে সময় তারা সারা দুনিয়ার স্কলারদের কাছ থেকে ধার করেছে। শিখেছে। এখন আর অন্যের ভালোটা ধার করতে চায় না।
লেখাটি রউফুল আলম -এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (মত ভিন্নমত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv/আলী