বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার বিদেশ যেতে দিতে চাচ্ছে না। তাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে বাধ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে সরকারকে বাধ্য করতে পারবো।
আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ আন্দোলন শুধু বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নয়, আন্দোলন হবে জাতির মুক্তির জন্যও। আমাদের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্নগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আর সেই কারণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরি করে একটি দুর্বার আন্দোলন গড়তে হবে।
তিনি বলেন, দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট, ভয়াবহ ও দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে পারবো। তাদের আমরা বাধ্য করবো, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তার চিকিৎসা ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ৭১ থেকে দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্তের অংশ। তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার বিদেশ যেতে দিতে চাচ্ছে না। এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, আর বিলম্ব নয়, জনগণ বেরিয়ে আসছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে বাধ্য করতে হবে। আজকের আন্দোলন শুধু খালেদার মুক্তির জন্য নয়, জাতির মুক্তির আন্দোলন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যের মধ্য দিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবো।
আরও পড়ুন:
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণ!
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।