রান্না করতে গিয়ে আগুন লাগলে যে ১০ কাজ করবেন

প্রতীকী ছবি

রান্না করতে গিয়ে আগুন লাগলে যে ১০ কাজ করবেন

অনলাইন ডেস্ক

দৈনন্দিন কাজে আমাদের সকলকেই কম বেশি রান্না ঘরে যেতে হয়। কিন্তু অসাবধনতাবশত কিংবা ত্রুটির কারণে রান্না ঘরে লাগতে পারেন আগুন। আগুন থেকে বাঁচতে যা করবেন তা নিম্নে তুলে ধরা হলো।  

১।

শরীরের পোশাক: রান্না করার সময় অবশ্যই ফিটিং পোশাক পড়ুন। বেশি ঢিলে পোশাক পড়লে অসাবধানতায় পোশাক আগুনের সঙ্গে লেগে অথবা কাপড় গরম হতে হতে এক সময় পোশাকে আগুন ধরে যেতে পারে।

২। রান্নার স্থান সবসময় পরিষ্কার রাখা:  চুলার আশপাশে সবসময় পরিষ্কার রাখুন।

যেসব দাহ্যবস্তু কম তাপে আগুন লেগে যায় তা দূরে রাখুন। চুলার পাশে এলোমেলোভাবে নোংরা জিনিসপত্রসহ রান্নার সরঞ্জাম রাখবেন না। যত ধরনের কাঠের রান্না করার সরঞ্জাম আছে তা স্টোভ/বার্নারের কাছ থেকে ১ মিটার থেকে ৩ ফুট দূরে রাখুন। এমনকি চুলা, বার্নার, স্টোভ রান্না করার পরপরই পরিষ্কার করে রাখুন। রান্না শুরুর আগে ও করার সময় অ্যাডজাস্ট ফ্যান চালু রাখুন।

৩। রান্নাঘর স্টোর নয়: গ্রাম কিংবা শহরের চিত্র একইরকম। রান্নাঘরকে স্টোর রুম করা হয়। এতে করে আগুন লাগার ঝুঁকি থেকে যায়।  রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া স্টোর না করাই ভালো।  

৪। সচেতন অবস্থায় রান্না: ঘুম ঘুম ভাব বা অ্যালকোহল পান করে রান্না করবেন না। সতর্ক অবস্থায় রান্না করুন। কোনো ওষুধ নেওয়ার কারণে ঘুম ঘুম লাগলে রান্না করতে যাবেন না। ক্লান্তি নিয়েও রান্না করবেন না।

৫। রান্নাঘরেই থাকুন: যতক্ষণ রান্না করবেন ততক্ষণই রান্না ঘরে থাকার চেষ্টা করুন। এমন দূরত্বে যাবেন না তাতে দুর্ঘটনা ঘটলে বুঝতে পারবেন না। যদি কোথাও যেতে হয় তাহলে স্টোভ/চুলা বন্ধ করে যান। কোনোভাবেই চুলায় রান্না বসিয়ে অন্য ঘরে কোন কাজ করবেন না। এখন পর্যন্ত রান্নাঘরে রান্না বসিয়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি আগুনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।

৬। প্যান বা কড়াইতে আগুন: যদি প্যান বা কড়াইতে আগুন লেগে যায় যায়। মাথা ঠান্ডা রাখুন। ঢাকনা দিয়ে প্যান/কড়াই ঢেকে দিন। যতক্ষণ না পাতিল ঠাণ্ডা না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ঢেকেই রাখুন। কোনোভাবেই প্যান বা কড়াই বার্নার/চুলা থেকে টান দিয়ে ফেলে দেয়া বা সরাবেন না। এতে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

৭। প্যান/কড়াইতে তেলে আগুন লাগলে: যদি কড়াইতে তেলের জন্য আগুন লাগে কোনোভাবেই পানি দেবেন না। তাহলে আগুন আরও বেড়ে যাবে। তেলের আগুনে পানি দেয়ার ভুলটাই বেশি পরিমাণে করা হয়। এটা না করে প্রথমেই ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন তারপর বার্নার বন্ধ করে দিন বা চুলা থেকে খড়ি সরিয়ে ফেলুন। এ ছাড়া কড়াইতে বেকিং সোডা দিতে পারলে আগুন নিভে যাবে। যদি আগুন একটু বড় হয়ে যায় তাহলে ভেজা কোনো কম্বল দিয়ে পুরো বার্নার বা চুলাটাকে ঢেকে দিন।

৮। কী রান্না করছেন খেয়াল রাখুন: কি রান্না করছেন তা খেয়াল রাখুন। মাঝেমাঝে তা চেক করুন। ওভার হিটসহ অন্যান্য বিষয় খেয়াল করুন। আপনি সচেতন না থাকলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। শহর কিংবা গ্রামে দেখা যায় আড্ডা দিতে দিতে রান্না করে। এতে মনোযোগ/সচেতনতায় ঘাটতি তৈরি হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে।  মনে রাখবেন আগুন লাগলে শুধু আপনারই ক্ষতি হচ্ছে না আপনার প্রতিবেশীরও ক্ষতি হচ্ছে যার দায়ভার তার ছিল না।

আরও পড়ুন:


 

মুম্বাইয়ে ২০তলা ভবনে আগুন, নিহত ৭


৯। ওভেনে আগুন: ওভেনে অবশ্যই সরাসরি লাইন ব্যবহার করুন। এক্সটেনশন লাইন ব্যবহার করলে ওভারলোড হয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যেতে পারে। ওভেনে আগুন লাগলে প্রথমেই ওভেনের ইলেকট্রিসিটি লাইন বন্ধ করে দিন। কোনোভাবেই দরজা খুলবেন না যতক্ষণ না আগুন নিভে না যায়। এরপর সার্ভিস না করা পর্যন্ত কোনোভাবেই আবার চালু করবেন না। মাইক্রোওভেনে কখনোই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বা মেটাল অবজেক্ট ব্যবহার করবেন না।  

১০। শিশুকে দূরে রাখুন: শিশুদের রান্না ঘর থেকে দূরে রাখুন। কমপক্ষে তিন ফুট দূরে রাখুন। রান্না করার সময় বা গরম পানি বা গরম অন্য কিছু বহন করার সময় শিশুদের কোলে রাখবেন না। এ ছাড়া শিশুদের জানান কোনটি গরম, কোন কাজে ঝুঁকি রয়েছে। এ রকম হয়েছে শিশুকে চুলার কাছে রেখে পরিবারের সদস্য অন্য কাজে গেছে এদিকে শিশু চুলা থেকে খড়ি নিয়ে অন্য কিছুতে লাগিয়ে দিয়েছে।

news24bd.tv রিমু