বলরাম মজুমদারের হত্যার সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, ওসি সাজ্জাদ এখানে আসার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। কিছুদিন আগে আপনারা শুনেছেন, একজন পুলিশ অটোরিক্সা চুরি করার সময় পাবলিকের হাতে ধরা পড়েছে। অটোরিকশা চালকের চোখে মরিচের গুড়ো মেরে তার থেকে অটোরিক্সা চুরি করেছে। চুরি করেছে কে? পুলিশ চুরি করেছে।
কাদের মির্জা বলেন, এই ওসি অটোরিক্সা চোর পুলিশকে জনতার হাত থেকে নিয়ে এসেছে। আজকে এ থেকে প্রমাণিত হয়, যেহেতু পুলিশ চুরিতে ধরা পড়েছে সেজন্য ্এই বলরাম হত্যাকান্ডের সাথে কোম্পানীগঞ্জের ওসিসহ পুলিশ জড়িত। চোরের কাছে চুরির বিচার চেয়ে কোনো লাভ নেই, হত্যাকারীর কাছে হত্যার বিচার চেয়ে কোনো লাভ নেই। এ জন্য তিনি পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব না দিয়ে ডিজিএফআই, এনএসআইকে দিয়ে মামলা তদন্তের দাবি জানান।
শুক্রবার বেলা ১১টায় বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে অটোরিকশা চালক বলরাম মজুমদারের হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা চাইলেও বাহাত্তরের সংবিধানে যেতে পারবেন না। বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া উচিৎ যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো বাহাত্তরের সংবিধান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিলো বাহাত্তরের সংবিধান। কিন্তু আজকে এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে সেটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিভিন্ন সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে যে ধারায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে ধারা থেকে বাংলাদেশকে বিচ্যুতি ঘটানো হয়েছে।
কাদের মির্জা আরও বলেন, আমরা সবাই বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার দাবি করতে পারি। একজনতো (মুরাদ হাসান) দাবি করে ধরা খেয়েছেন না। আমরা সবাই মিলে দাবি করলেও শেখ হাসিনা বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরতে পারবেন না। কারণ ভারতও বাবরি মসজিদের মামলায় অসাম্প্রদায়িক রায় দিতে পারেনি, এখানেও সম্ভব নয়।
মানববন্ধনে হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নেতা বাবু অরবিন্দ ভৌমিকসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩১ জানুয়ারি দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের একটি ধানখেত থেকে মিশুক (ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা) চালক বলরামের হাত-পা বাধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
news24bd.tv/আলী