রাশিয়ার তেল প্রত্যাখ্যান করলে বিশ্ববাজারের নেমে আসবে বিপর্যয়

আসমা তুলি

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম। যদি মস্কো সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেয়, তবে দাম আরো বাড়বে। এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি দুই–তৃতীয়াংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

রাশিয়ার বিকল্প উৎস খুঁজছে বৃটেনও।

তবে মস্কো সতর্ক করেছে, রাশিয়ার তেল প্রত্যাখ্যান করলে বিশ্ববাজারের বিপর্যয় নেমে আসবে।

সম্প্রতি রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে বাইডেন প্রশাসনের এ ঘোষণায় খুব বেশি বেগ পেতে হবে না দেশটিকে।

কারণ যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার তেলের ওপর নির্ভরশীল নয়।

২০২০ সালে ওয়াশিংটনের আমদানি তেলের মাত্র ৩ শতাংশ আসে মস্কো থেকে।

রাশিয়ার কাছ থেকে চাহিদার ৮ শতাংশ তেল আনা বৃটেনও বছরের শেষে আমদানি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করবে।

তবে মুশকিলে পড়তে হবে ইউরোপকে। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করে। যার অর্ধেকের বেশি যায় ইউরোপে। রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি করা দেশের তালিকাও বেশ দীর্ঘ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ইইউ রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর কথা বলেছে। আর সৌদি আরবকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কথাও ভাবছে মার্কিন প্রশাসন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাসের তুলনায় তেলের বিকল্প উৎস খুঁজে পাওয়া সহজ। কারণ, গ্যাসের পাইপলাইনের স্বল্পতা রয়েছে।  

তবে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় মস্কো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলে বিশ্ব জ্বালানি বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠবে। যা শুধু জ্বালানির দামে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বিশ্বজুড়ে ভোগ্যপণ্যের দরেও  ধাক্কা লাগবে, প্রভাব পড়বে মানুষের জীবনমানে।

news24bd.tv তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক