মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জমিনে ন্যায় প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায় প্রতিষ্ঠা, সদাচার ও নিকটাত্মীয়দের দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)
ইসলাম ন্যায় প্রতিষ্ঠাকে এতটা গুরুত্ব দেয় যে কোনো নিকটাত্মীয় অন্যায়ে লিপ্ত হলেও তার প্রতি স্বজনপ্রীতি করার কোনো সুযোগ নেই।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! ন্যায়ের প্রতি সুপ্রতিষ্ঠ ও আল্লাহর জন্য সাক্ষ্যদাতা হও, যদিও তা তোমাদের নিজেদের কিংবা মাতা-পিতা এবং আত্মীয়গণের বিরুদ্ধে হয়, কেউ ধনী হোক বা দরিদ্র হোক, আল্লাহ উভয়েরই ঘনিষ্ঠতর। অতএব প্রবৃত্তির অনুসরণ কোরো না, যাতে তোমরা ন্যায়বিচার করতে পারো এবং যদি তোমরা বক্রভাবে কথা বলো কিংবা সত্যকে এড়িয়ে যাও তবে নিশ্চয় তোমরা যা করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৩৫)
এই আয়াতে ঈমানদারকে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার এবং ন্যায় অনুযায়ী সাক্ষ্য দেওয়ার প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে, যদিও তার কারণে তাকে অথবা তার মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনদেরকে ক্ষতির শিকার হতে হয় তবুও।
ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়ের ওপর অবিচল থাকা যেমন কঠিন, তেমনি তার পুরস্কারও বড়। কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ ন্যায়পরায়ণ শাসকদের বিশেষ সম্মাননা দেবেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ন্যায়বিচারকগণ (কিয়ামতের দিন) আল্লাহর নিকটে নূরের মিম্বারসমূহে মহামহিম দয়াময় প্রভুর ডানপার্শ্বে উপবিষ্ট থাকবেন। তাঁর উভয় হাতই ডান হাত (অর্থাৎ সমান মহীয়ান)। যারা তাদের শাসনকার্যে তাদের পরিবারের লোকদের ব্যাপারে এবং তাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্বসমূহের ব্যাপারে সুবিচার করে। (মুসলিম, হাদিস : ৪৬১৫)
অন্য হাদিসের ভাষ্য মতে, কিয়ামতের দিন ন্যায়পরায়ণ শাসকদের আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৬০)
মহান আল্লাহ সবাইকে ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়ের পক্ষে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
news24bd.tv রিমু