তিন বছর পর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনো দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। অভিযোগ আছে, শ্রমবাজার খুলতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির একটি সিন্ডিকেট। এদিকে, মালয়েশিয়ার ভিসা বন্ধ থাকায় মধ্যপ্রাচ্যগামী শ্রমিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এজেন্সিগুলো।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধ করে দেয়া হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
এরপর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর পুনরায় চালু করা হয়। শ্রমবাজার খোলার ৩ মাসের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ ভিসা প্রস্তুত করে মালয়েশিয়া। কিন্তু এখনো দেশটিতে কর্মী পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ। এর ফলে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারটি চলে যাচ্ছে নেপালের দখলে।স্মারক স্বাক্ষরের পরও কেনো মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না উঠেছে এমন প্রশ্ন। অনুসন্ধান বলছে, ঘটনার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির একটি সিন্ডিকেট। বিশেষ করে বায়রার প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা নানাভাবে শ্রম বাজারটি বন্ধ রাখতে গোপনে তৎপরতা চালাচ্ছেন। কারণ এই সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় বেশি টাকা হাতিয়ে কর্মী পাঠাতে পারছেন তারা। আর বায়রার সাবেক এই নেতা বলছেন খরচের বিষয়টি নিস্পত্তি করা দরকার।
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় কর্মরত আছেন ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি। ২০১৮ সালে গেছেন প্রায় পৌনে দুই লাখ কর্মী। ্এরপর থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে দেশটিতে কোন কর্মী পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার। ফলে সংকচিত হয়েছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার।
news24bd.tv/ কামরুল