চলছে রমজান মাস। আর প্রচন্ড গরমের মধ্য দিয়েই পার করতে হচ্ছে রোজা। রোজায় নিজেকে ও পরিবারকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরী। তাই ইফতারে এমন কিছু খাবার রাখা উচিত যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং সারাদিনের ক্লান্তিভাব দূর করে শরীরকে কর্মক্ষম রাখবে।
পানীয়:
পানি, ফলের শরবত, স্মুথি, দুধ এগুলো পানীয়ের অন্তর্ভুক্ত। দুধ ও ফল দিয়ে বানানো পানীয় যেমন, ব্যানানা শেক, ম্যাঙ্গো শেক প্রাকৃতিকভাবে সুগার ও ক্যালরির ভালো উৎস। অতিরিক্ত চিনি দেয়া শরবত বা কৃত্রিম ফলের জুস না খাওয়াই ভালো।
কাঁচা ছোলা:
রান্না ছোলার থেকে কাঁচা ছোলায় পুষ্টিগুণ বেশি। ছোলায় ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও উচ্চ প্রোটিন রয়েছে। শরীরে শক্তির জোগান দিতে এর কোনো বিকল্প নেই।
খেজুর:
খেজুর শর্করা ও খনিজ যেমন পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফাইবারের অনেক ভালো উৎস। ইফতারে তাই দুটি করে খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
শসা:
শসা প্রায় বারো মাসই পাওয়া যায় বাজারে। রোজায় ইফতারে শসা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে ৯৫ শতাংশ পানি, মিনারেল ও ভিটামিন রয়েছে। তাই শসা খেলে ভেতর থেকে শরীর ঠাণ্ডা হয়। এছাড়া ক্যালোরির পরিমাণ কম ও ফাইবার বেশি থাকায় ওজন কমাতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তরমুজ:
তরমুজে ৯২ শতাংশ পানি থাকায় শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে থাকে। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। ইফতারে বিশেষ করে পানিসমৃদ্ধ ফল যেমন আনারস, বাঙ্গি, কমলা, মাল্টা, নাশপাতি ডিহাইড্রেশন দূর করে।
সবজি :
সবজি ও চিকেন দিয়ে তৈরি স্যুপ রাখা ভালো। ইফতারে মাঝেমধ্যে ছোলা, পিঁয়াজু ও বেগুনির বদলে আমরা সবজির স্যুপ রাখতে পারি।
দই:
দইয়ে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন ও ভিটামিন ডি থাকে, সহজে খাবার হজম করে। ইফতারে তাই দই, চিড়া-মুড়ি খাওয়া যেতে পারে।
এছাড়া সারাদিন রোজায় শরীরে পানির অভাব দূর করতে প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন।
news24bd.tv/Amy_Jannat