বিপিএল ফুটবলে বিদেশিদের দাপট

বিপিএল ফুটবলে বিদেশিদের দাপট

মাহফুজুল ইসলাম

শেষ হলো বিপিএল ফুটবলের প্রথম লিগের খেলা। বরাবরের মতোই গোলস্কোরিংয়ে ছিল বিদেশিদের আধিপত্য। সেরা দশ স্কোরারের তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি, নাইজেরিয়ান বংশদ্ভুত এলিটা কিংসলে।

২০০৭ থেকে ২০২০-২১।

চলতি মৌসুমের হিসেবটা যোগ করলে পেশাদার লিগের সংখ্যা হবে ১৪। প্রতিবারের মতো এবারও গোলস্কোরিংয়ে বিদেশিদের দাপট স্পষ্ট।

নজর দেওয়া যাক সেরা স্কোররদের তালিকার দিকে। চট্টগ্রাম আবাহনীর পিটার থ্যাংকগড করেছেন সর্বোচ্চ ১৩ টি গোল।

বসুন্ধরা কিংসের রবসনের পা থেকে এসেছে ১০ টি। ৭টি করে গোল এসেছে আবাহনীর ডরিয়েলটন, মোহামেডানের দিয়াবাতে ও শেখ জামালের সোলেমান আর চিনিদুম্যাথুর পা থেকে। ৫ টি করে গোল করার তালিকায় আছেন রহমতগঞ্জের ফিলিপ আদজাহ, আবাহনীর কলিন্দ্রেস, সাইফের এমফন উদো। এই তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি নাইজেরিয়ান বংশদ্ভুত এলিটা কিংসলে।

এবার নজর দেওয়া যাক লিগ টেবিলের দিকে। শীর্ষস্থানে বসুন্ধরা কিংস। এরপরই ঢাকা আবাহনী। শেখ জামাল তিনে। এরপর যথাক্রমে চট্টগ্রাম আবাহনী ও ঢাকা মোহামেডান।

প্রথম লেগ শেষে হ্যাটট্রিক হয়েছে ছয়টি। যার সবগুলোই এসেছে বিদেশিদের পা থেকে। সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট করেছেন আবাহনীর দানিয়েল কলিন্দ্রেস। তার সমান তিনটি করে অ্যাসিস্ট আছে শেখ জামালের সোলেমান কিং এর। মোহামেডানের জাফর, আবাহনীর নুরুন নাঈম করেছেন যথাক্রমে দুটি করে অ্যাসিস্ট। তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন বসুন্ধরা কিংসের মেহদী ইউসুফ।

টানা ৮ ম্যাচ জেতার রেকর্ড আছে টেবিল টপার বসুন্ধরা কিংসের। টানা ১১ ম্যাচ আনবিটেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এছাড়াও টানা ১০ ম্যাচ জয়হীন স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ।

এমন সব পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের পার্থক্যটা আসলে কোথায়! এর আগের ১৩ আসরের মধ্যে ২০০৯-১০ মৌসুমে দেশি ফুটবলার এনামুলের করা ২১ গোলই এখন পর‌্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য একমাত্র প্রাপ্তি।

 news24bd.tv তৌহিদ