নোয়াখালীর বৃহত্তর বাণিজ্যক কেন্দ্র চৌমুহনীতে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাড়ছে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ। সরু গলি, অবৈধ ফুটপাত ও জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণসহ অপরিকল্পিত নগরায়নকে দুষছেন ব্যবসায়ী ও ফায়ার সার্ভিস। এখনই উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে সংকট আরো প্রকট হওয়ার আশঙ্কা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্তও ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতার ভীড়ে সরগরম ছিল চৌমুহনীর ব্যাংক গলির মার্কেট।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ গলিতে প্রায় প্রতি বছরই ঈদের আগ মুহুর্তে আগুনের ঘটনা ঘটে। বাজারের ভেতর দমকল বাহিনী থাকলেও সরু পথ, অবৈধ ফুটপাত থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারে না তারা। আবার পানি সংকট রয়েছে চরমে। ফলে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
কাপড়, জুতা, প্লাস্টিক সামগ্রী, লাইব্রেরি, ফার্মেসীসহ এখানে রয়েছে প্রায় সব ধরনের পণ্যের প্রতিষ্ঠান। চৌমুহনী দেশের বাণিজ্যিক হাব হওয়ায় বৃহত্তর নোয়াখালীর গ্রাম-গঞ্জের ব্যবসায়ীদের পাইকারীর বড় মোকাম এটি। পুরো বাজারে ব্যাংকসহ অর্ধ লাখেরও বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিগত সময়ের চেয়ে এবারের আগুনের তীব্রতা শংকিত করেছে চৌমুহনীর ব্যবসায়ীদের।
আইন অমান্য করা, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং জলাশয়গুলো ভরাট করায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী ও উৎসুক মানুষের অসহযোগীতাও আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পাওয়ার কারণ।
নোয়াখালী দমকল বাহিনী উপ-সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা বলছেন, পুকুর বা জলাশয় ভরাট আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও পরিকল্পিত নগরায়নই পারে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি কমাতে।
এ বিষয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত ছাড়া ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করতে চাননি তিনি।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উৎসুক জনতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তারপরও সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
news24bd.tv/রিমু