যে আচরণ আল্লাহর প্রিয়

প্রতীকী ছবি

যে আচরণ আল্লাহর প্রিয়

মাইমুনা আক্তার

গাম্ভীর্যপূর্ণ ভদ্র আচরণ মানুষের চারিত্রিক সৌন্দর্য। এগুলো আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। যারা ভদ্র আচরণ করে এবং নির্বোধদের এড়িয়ে চলে, মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে তাদের সুনাম করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর রহমানের বান্দা তারাই যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা বলে ‘সালাম’।

’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৬৩)

গাম্ভীর্যপূর্ণ ভদ্র আচরণকে ইসলাম এতটাই গুরুত্ব দেয় যে মহানবী (সা.) একে নবুয়তের পঁচিশ ভাগের এক ভাগ আখ্যা দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, উত্তম পথ, গাম্ভীর্যপূর্ণ উত্তম আচরণ এবং পরিমিতিবোধ নবুয়তের পঁচিশ ভাগের এক ভাগ। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৭৬)

মহানবী (সা.)-এর আচরণ এতটাই গাম্ভীর্যপূর্ণ ও কোমল ছিল যে তিনি কখনো অট্টহাসিও দিতেন না। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-কে এমনভাবে হাঁ করতে দেখিনি যে তাঁর আল জিহ্বা দেখা যেত।

তিনি কেবল মুচকি হাসতেন। (বুখারি, হাদিস : ৬০৯২)

এমনকি ইবাদতের ক্ষেত্রেও মুমিনদের গাম্ভীর্য ও স্থিরতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তোমরা ইকামত শুনতে পাবে, তখন সালাতের দিকে চলে আসবে, তোমাদের উচিত স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়া করবে না। ইমামের সঙ্গে যতটুকু পাও তা আদায় করবে, আর যা ছুটে যায় তা পূর্ণ করবে। (বুখারি,  হাদিস : ৬৩৬)

তাই মুমিনের উচিত নিজের ব্যক্তিত্বকে গাম্ভীর্যপূর্ণ করে তোলা। কথাবার্তা, কাজকর্মে, চলাফেরায় ভদ্রতা অবলম্বন করা। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের চলন-বলন মাধুর্যপূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো, তোমার আওয়াজ নিচু করো; নিশ্চয় সবচেয়ে নিকৃষ্ট আওয়াজ হলো গাধার আওয়াজ। ’ (সুরা : লুকমান,  আয়াত : ৩১)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর জমিনে বড়াই করে চোলো না; তুমি তো কখনো জমিনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না। ’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৭)

মহান আল্লাহ সবাইকে কোরআন-হাদিসের নির্দেশনাগুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।