ঝিনাইদহের মহেশপুরে কপোতাক্ষ নদে অবৈধ কারেন্ট ও চায়না ম্যাজিক জাল দিয়ে মাছ ধরা ও মাছের প্রজনন নষ্ট করা হচ্ছে প্রতিদিন। কপোতাক্ষ নদে অবৈধ কারেন্ট ও চায়না ম্যাজিক জাল দিয়ে মাছ ধরা ও মাছের প্রজনন নষ্টের বিষয়ে সোমবার উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
এই নদে প্রতিদিন প্রায় ২শ কারেন্ট ও ম্যাজিক জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়ে থাকে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের নদ-নদী খননের আওতায় মহেশপুর শহরের কোল ঘেষে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ হয়েছে। ফলে নদীর গভীরতা ও প্রশস্ততা বেড়েছে। নদী গভীর ও প্রশস্ত হওয়ায় মাছের প্রচুর ডিম ও পোনা ফুটেছে। এছাড়াও সরকারিভাবে নদ খনরের পরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু মানুষ কারেন্ট ও ম্যাজিক জাল দিয়ে প্রতিদিন সে মাছ ধরে নিচ্ছে। এ নিষিদ্ধ জালের ব্যবহারে মাছ ও মাছের প্রজনন নষ্ট হচ্ছে। আর এসব কারণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশাদুল ইসলাম জানান, নদ খননের পর তাতে প্রচুর মাছ ও মাছের পোনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এলাকার কিছু চিহ্নিত অসাধু ব্যক্তি নিজ স্বার্থ হাসিলের চেষ্টার অবৈধ ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে দেশের মৎস্য সম্পদের ক্ষতি করছে। এসব ব্যক্তি প্রতিদিন প্রায় ২শ কারেন্ট ও ম্যাজিক জাল দিয়ে কপোতাক্ষ নদে মাছ শিকার করেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তৌকির আহম্মেদ বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগটি দেখেছি, বর্তমানে দেশে নিষিদ্ধ কারন্টে জাল দিয়ে মাছ ধরার বিরুদ্ধে আইন রয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, আমি এখনও এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগটি হাতে পাইনি। পেলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
news24bd.tv তৌহিদ