বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের প্রস্তুতি

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে বান্দরবনে চলছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রবিবার (৯ অক্টোবর ) থেকে শুরু হচ্ছে  দুই দিনব্যাপী ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে পাহাড়ে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।

প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ফানুস ওড়ানো, মহারথ টানা ও পিঠা তৈরি। এ উপলক্ষে পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে রাত জেগে তরুণ-তরুণীরা বৈচিত্র্যময় নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকদের কেনাকাটায় ব্যস্ততা দেখা গেছে।

আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরের দিন থেকে টানা তিনমাসের বর্ষাবাস শেষে নর-নারীরা বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে পঞ্চশিল, অষ্টশিল ও দশশিল গ্রহণ করেন। প্রবারণা পূর্ণিমাকে মারমারা মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ হিসেবে পালন করে থাকে। এ সময় সকল অহিংসা ও পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মন্ত্রে দীক্ষিত হন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মানুসারীরা।

এদিকে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন বিহারে বিহারে চলবে ধর্মীয় প্রার্থনা। ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে অর্থ ও অন্নদান, ফুল পূজাসহ চলবে নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা। বিভিন্ন উপাসক-উপাসিকারা গ্রহণ করছেন সকাল থেকে অষ্টশিল ও দশশিল।

উপাসক-উপাসিকারা জানিয়েছেন, বিহারে বিহারে দেয়া হবে ধর্মীয় দেশনা। জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় করা হবে বিশেষ প্রার্থনা। সুখ-শান্তি লাভ ও পারিবারিক সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করবেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। দায়ক-দায়িকারা মোমবাতি, ধুপকাটি প্রজ্বলন আর বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ছোয়াইং (বিভিন্ন ধরনের জল ও খাবার) প্রদানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন মহানন্দে।  

বৌদ্ধ ধর্ম মতে, প্রবারণা পূর্ণিমার দিনই রাজকুমার সিদ্ধার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্দি গ্রহণ, গৃহত্যাগ ও ধর্মচক্র প্রবর্তন সংঘটিত হয়েছিল। তাই প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে দিনটি বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে আজও।

news24bd.tv/হারুন