সবজি-ডিমের দাম বাড়তি, কার্যকরের আগের বেড়েছে চিনির দাম

দাম বেড়েছে সবজি ও ডিমের। দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। প্রতি কেজি মরিচ ২০ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বর্ধিত দাম কার্যকরের আগে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

ভরা মৌসুমে বাজারে দাম বেড়েছে শীতকালীন সবজির। আকার ভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।  

বাজারে শিমের কেজি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ১০০-১১০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০-১০০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।  

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন করে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এখনি বাড়তি দামে চিনি বিক্রি শুরু করেছেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকার কমে মিলছে না।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চিনি বিক্রেতারা বলছেন, নির্ধারিত দামে আগেও চিনি বিক্রি হয়নি এখনও হচ্ছে না। নতুন করে দাম বাড়ার ঘোষণার পর সরবরাহ কমে গেছে। সরকার কঠিনভাবে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছে না। ফলে খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বাজারে শুধু চিনি নয়, মসলাসহ আদা-রসুন ও শুকনো মরিচের দামেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায়। দেশি আদা ১২০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। রসুন ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে আলুর কেজি এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা। খোলা চিনির দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।

প্রায় বেশিরভাগ পণ্যের দর বৃদ্ধির মধ্যে বাজারে কমেছে কেবল আটার দাম। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আগে কেজির প্যাকেট ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা।

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।

বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা।  লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।

দাম বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ডজন বিক্রি হত ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, ডিমের দাম অল্প বেড়েছে। লাল ফার্মের মুরগির হালি বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা গত সপ্তাহে ছিল ৩৮ টাকা টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। ডিমের উৎপাদন কম থাকায় দাম বেড়েছে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়।  

আগে দামেই রয়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়।  

news24bd.tv/হারুন