রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে দেশটির। সংকট কাটাতে আইএমএফের ঋণ পেতেই হবে। তাই এবার ঋণের শর্ত মানতে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি ও পরিষেবার উপর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সংসদে বিল পাস করে বিলাসী পণ্যের ওপর আরোপিত কর বৃদ্ধি করা হয়। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ইতোমধ্যেই খাদ্য ও ওষুধ বাদে প্রায় সব ধরনের পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
এদিকে আইএমএফের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ছাড় করিয়ে নিতে কয়েকদিন ধরে দৌড়ঝাপ করছে পাকিস্তান। তবে ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্থিক সংস্থাটি শর্ত দিয়েছে, ঋণ পেতে হলে জ্বালানির মূল্য ও পণ্যের ওপর আরোপিত কর বৃদ্ধি করতে হবে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের আইনসভায় সম্পূরক অর্থায়ন বিলের অনুমোদন দিয়ে সেলস ট্যাক্স ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গাড়ি, গৃহস্থালি জিনিসপত্র, চকলেট এবং কসমেটিকস জিনিসপত্র।
এদিকে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে কৃত্রিম মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি বাদ দেয়ার পর নগদ অর্থের সংকটে পড়ে দেশটি। এতে মার্কিন ডলারের বিপরীতে এক চতুর্থাংশেরও বেশি মূল্য হারায় পাকিস্তানি রূপি।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বেলআউট থেকে তহবিল সংগ্রহ করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় আর্থিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করায় জ্বালানির দাম এক পঞ্চমাংশেরও বেশি বেড়েছে।
news24bd/আজিজ