বিশটিরও বেশি স্ত্রী আরাভের, রয়েছে অনেক ছদ্মনাম

দুবাইয়ে থাকা বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী, ঢাকায় এক পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ওরফে আপন ওরফে আরাভ খানের বিয়ের বিষয় নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। তার গ্রামের লোকজন বলছেন, আরাভ অন্তত ২০টি বিয়ে করেছে; তবে সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে।

সম্প্রতি দুবাইয়ে আরাভের একটি স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, অভিনেত্রী ফারদিন দীঘি, ইউটিউবার হিরো আলমসহ বিনোদন জগতের আরও কয়েকজন। আর সেই আয়োজন ঘিরে দেশে শুরু হয় তোলপাড়।

জানা গেছে, আরাভের বাবা ছিলেন নিম্ন আয়ের একজন মানুষ। ঢাকায় হোটেলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তার সন্তান আরাভের এখন শত শত কোটি টাকা। এসব অর্থের উৎস নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। অভিযোগ রয়েছে, অর্থের জন্য আরাভ বিভিন্ন সময় নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আরাভের বিরুদ্ধে ৯টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে মামলার সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে।

আরাভের গ্রামের লোকজনের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আরাভ বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছেন। ছয়টির মত বিয়ের বিচার-সালিশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তবে গ্রামে প্রচার রয়েছে, তার বিয়ের সংখ্যা অন্তত ২০টি বা তারও বেশি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিয়ের খবর তেমন কেউ জানেন না।

জানা গেছে, ঢাকায় মেডিকেলে পড়তে আসা এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ফাঁসান আরাভ। সেই তরুণীর বাবা ছিলেন মেহেরপুরের স্বল্প আয়ের একজন কৃষিজীবী। গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আরাভের’ সঙ্গে জড়িয়ে তার মেয়েরও ‘অপরাধের জগতে’ জড়িয়ে পড়ার কথা। পড়াশোনা শেষ হওয়ার আগেই সেই তরুণী জড়িয়ে পড়েন অপরাধ জগতের সাথে।

আরাভের রয়েছে অসংখ্য ছদ্মনাম। ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা আরাভকে চেনেন ‘আপন’ নামে। তিনি জানান, জামাতার মত তার মেয়েও পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন। সে হত্যা মামলায় তার মেয়ে সাড়ে তিন বছরের মত কারাগারেও ছিলেন।

আক্ষেপ করে তরুণীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েটাকে ঢাকায় পড়তে দিয়েছিলাম মেডিকেলে। একদিন শুনলাম, সে কোনো এক বড়লোকের ছেলেকে সে বিয়ে করেছে। আপন নিজেকে ‘বড়লোকের ছেলে’ দাবি করে আমার ‘মেডিকেল পড়ুয়া’ মেয়েকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করে। তবে বিয়ের পর আপনের আরও স্ত্রীর খবর জেনেছি। ’