স্বামীর দায়ের কোপে মারাত্মক আহত নাসরিনের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন। এরআগে মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামী লিটন মিয়া ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করে। আগুনে পুড়িয়ে দেয় একমাত্র বসত ভিটা।
নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ মেডিকেলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন সেই নাসরিন। কিন্তু বসত ঘর না থাকায় তিন সন্তান ইয়াসিন, তাসিন ও তামিমকে নিয়ে মানবেতর দিন কাটছিল তার।
এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসকের সাপ্তাহিক গণশুনানিতে গিয়ে সাময়িক ভাবে অর্থসহ পেয়েছিলেন ছয় মাসের খাবার।
পরবর্তীতে পুড়ে যাওয়া জায়গাতেই সরকারি অর্থায়নে করে দেয়া হয়েছে একটি টিনসেট ঘর। বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মনাং গ্রামে নির্মিত ঘরটি আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। নাসরিন ও শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতেই উদ্যোগ গুলো নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঈদ উপলক্ষে শিশুদের দেয়া হয়েছে নতুন পাঞ্জাবি ও খাদ্য সামগ্রী। উপহারগুলো জেলা প্রশাসক নিজেই শিশুদের হাতে তুলে দেন। এতে সার্বিক সহায়তা করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, ভূমি সহকারী আকলিমা আক্তার ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ফারাস।
জেলা প্রশাসনের এমন মানবিকতায় কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি আনন্দিত নাসরিনসহ প্রতিবেশিরা। প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের জন্য দুহাত ভরে দোয়া করেন তারা।
এদিকে প্রতিবেশি স্বজন ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ভারসাম্যহীন লিটনকে পাঠানো হয়েছে পাবনা মানসিক হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে লিটন।
news24bd.tv/কেআই