করমুক্ত আয়সীমা নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার জন্য প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এই সংগঠন।

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর মতিঝিল এফবিসিসিআইয়ের রোর্ডরুমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পুরুষ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ এবং নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় এই করমুক্ত সীমা ৪ লাখ টাকা করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা হলো।

এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ‘অবাস্তব নয়’ বলেও জানান জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে বাজেটে রাজস্ব আদায়ের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হবে জানিয়ে জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘এমনিতেই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী বিরাজমান কঠিন পরিস্থিতির কারণে অত্যন্ত চাপের মুখে। এ পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখ, প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। ’

বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পরামর্শ দিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দরকার সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়ানো। এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যকর করে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করা জরুরি। এ উদ্দেশ্যে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে হবে।

যথাযথ বিনিয়োগ ও শিল্পোন্নয়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখা সম্ভব নয় জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, রাজস্ব নীতিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি। যাতে বিনিয়োগকারীরা আস্থার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারেন। এ জন্য মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সুসমন্বয় রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শিরোনামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। news24bd.tv/আইএএম