রমজানের প্রথম জুমায় পবিত্র আল-আকসায় ৮০ হাজার মুসল্লির ঢল

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমার নামাজে অংশ নিতে হাজার হাজার মুসল্লির ঢল নামে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর বিধি-নিষেধ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে শুক্রবার (১৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে ৮০ হাজারের বেশি মুসল্লি অংশ নেন। অবশ্য নামাজ পড়তে অধিকৃত জেরুজালেমের এলাকার বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশুদের কেবল প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।

জুমার আগে ওল্ড জেরুজালেমে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছিল ইসরায়েল। তবে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

গত বছরের অক্টোবর গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধের দোহাই দিয়ে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু রমজান মাস আসার পর তারা নমনীয়তা দেখাতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও ইসরায়েলের উগ্রপন্থিমন্ত্রী ইতামার বেন গিভির চেয়েছিলেন রমজানেও যেন আল-আকসায় মুসল্লিদের প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার এ প্রস্তাবে রাজি হননি। কারণ নেতানিয়াহু ভয় পেয়েছিলেন এই ভেবে যে, যদি রমজানেও মুসল্লিদের পবিত্র এ মসজিদে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় তাহলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে আল-আকাসা মসজিদে তারাবিহ নামাজ পড়েন ৭০ হাজারের বেশি মুসল্লি। মসজিদের প্রবেশপথে ইসরায়েলি বাহিনীর বাধা উপেক্ষায় করে তারা নামাজ পড়তে যান। জর্দান সরকার নিয়ন্ত্রিত আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এশা ও তারাবিহ নামাজে ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি অংশ নিয়েছেন। তারা পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ও সামনের প্রাঙ্গণে নামাজ পড়েন।

এর আগে গত সোমবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, রমজান মাসজুড়ে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের অধিবাসীরা পূর্বঅনুমতি ছাড়া জেরুজালেমে প্রবেশ করতে পারবে না। তা ছাড়া শুধুমাত্র অনূর্ধ্ব ৫৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ৫০ বছর বয়সী নারীদের মসজিদে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হবে।

news24bd.tv/DHL