বিচারের জন্য ভারতে আনা হলো সোমালি জলদস্যুদের

ভারত আটককৃত ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে বিচারের জন্য মুম্বাইয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।  দেশটির নৌবাহিনী একটি ছিনতাইকৃত কার্গো জাহাজ পুনরুদ্ধার এবং বেশ কিছু জিম্মিকে উদ্ধার করার কয়েক দিন পর এ খবর এলো। তাদের পুলিশ হেফাজতে স্থানান্তর করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার ( ২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে আরব সাগরের উত্তরে সোকোত্রার পূর্বে মাল্টার পতাকাবাহী ‘এমভি রুয়েন’ নামের বুলগেরীয় জাহাজটিকে ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটির উদ্ধারে অভিযান চালায় ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিল ‘আইএনএস কলকাতা’।

২০১৭ সালের পর রুয়েনই প্রথম কোনো জাহাজ, যেটি সোমালি জলদস্যুরা সফলভাবে ছিনতাই করতে পেরেছে। আরব সাগরের উত্তরাঞ্চলে সোকোত্রার পূর্বে ডিসেম্বরে মাল্টিজ পতাকাবাহী এমভি রুয়েন ছিনতাই করে তারা।

ভারতীয় নৌ কমান্ডোরা ১৭ মার্চ সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ২৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজটির ১৭ জন ক্রুকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে নয়জন মিয়ানমারের, সাতজন বুলগেরিয়ার এবং একজন অ্যাঙ্গোলার।   শনিবার রাতে আটক সোমালি জলদস্যুদের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ৭ দিনের রিমান্ডে কেজরিওয়াল

সোমালি জলদস্যুদের আক্রমণের শীর্ষে থাকা ২০১১ সালে নৌবাহিনী জড়িতদের ভারতে নিয়ে বিচার করত ও কারাগারে রাখত। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নৌবাহিনী জাহাজগুলো পুনরুদ্ধার ও ক্রুদের উদ্ধার করার উদ্যোগ নিলেও নিরস্ত্র জলদস্যুদের সমুদ্রে ছেড়ে দিয়েছে।

ভারতের জলদস্যুতাবিরোধী আইনের অধীনে পুরুষদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, যদি তারা হত্যা বা হত্যাচেষ্টার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়। তবে শুধু জলদস্যুতার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

news24bd.tv/DHL