ইফতারে চিনি মিশ্রিত শরবতের সাথে ওজনের সম্পর্ক

রমজানে মুসল্লিরা রোজা রেখে দিনের আলোয় খাবার এবং পানীয় থেকে বিরত থাকেন। তবে সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে তৃষ্ণা মেটাতে প্রয়োজন পানীয়। তাই ইফতারে খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের শরবত। তবে আপনি যে শরবত পান করছেন সেটি স্বাস্থ্যসম্মত কি না, সে বিষয়ে ও খেয়াল রাখা উচিত।

সারা দিন রোজা রেখে দিনশেষে ইফতার করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ইফতারের পর শরীরে শক্তি ও কর্ম চঞ্চলতা বৃদ্ধি পায়। তবে ইফতারে ভুল খাবার বা পানীয় গ্রহণ করছেন কি না, সেটি লক্ষ রাখবেন। অনেকে মনে করেন, সারা দিন রোজা থাকায় কোনো ক্যালরি গ্রহণ তো হয়নি, তাহলে ইফতারে চিনি খেলে ক্ষতি কী? মূলত চিনি থেকে যে গ্লুকোজ পাওয়া যায়, সেটি স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থেকে জানা যায়, চিনি মেশানো যে কোনো খাবার গ্রহণের পরে তা দ্রুত ভেঙে গিয়ে গ্লুকোজে পরিণত হয়। আর এই গ্লুকোজ রক্তে গিয়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হুট করে বাড়িয়ে দেয়। ফলে অল্প সময়ের ব্যবধানেই এই গ্লুকোজ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জমা হতে থাকার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যায়। এতে আবার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়।

রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে আমরা ক্ষুধাবোধ করি। সে সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে থাকি। এতে বাড়তি ক্যালরিও গ্রহণ করা হয়, যা আমাদের ওজন বাড়িয়ে তুলে।

এ ছাড়া আমাদের দেহের বিভিন্ন স্থানে যে গ্লুকোজ জমা হয়, তার অধিকাংশই চর্বি বা মেদ হিসেবে জমে। তাই চিনি মেশানো শরবত খেলে যে কোনো বয়সেই ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে।

আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখার উপায়

এ কারণে চিনি মিশ্রিত শরবতের বিকল্প হিসেবে কী পান করব?

হেলথলাইনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনি মিশ্রিত পানীয় পানে না ঝুঁকে চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পানীয়র প্রতি। কেননা, দেহে চিনির মাত্রা রাখতে হবে পরিমিত। মিষ্টান্ন খেলেও তা পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

এ ছাড়া আপনি চাইলে ফল কিংবা সবজির জুস পান করতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যকরও। তবে এতে চিনি না দেয়াই ভালো।

মিষ্টি ফলের রস তো লবণ-চিনি ছাড়াই খাওয়া যায়। তবে পানসে বা টক ফলের রসে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন, যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ না থাকে।

news24bd.tv/ab