বৈশাখে মিলন হলো না দুই বাংলার স্বজনদের

প্রতি পহেলা বৈশাখে পঞ্চগড়ের ভারত-বাংলাদেশের বেশ কিছু সীমান্ত এলাকায় মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসব মিলন মেলায় দুই দেশের কয়েক লাখ মানুষ তাদের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে আসে। বিজিবি এবং বিএসএফের নির্ধারিত সময়ে তারা কাঁটাতারের এপার-ওপারে অবস্থান নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে। প্রায় শত বছরের পুরোনো এই মিলন মেলা এবার হলো না। পহেলা বৈশাখ ও তার পরের দিন অমর খানা সীমান্তে আশে পাশের কয়েকটি জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এলেও মন খারাপ করে ফিরে যেতে হয় তাদের।

বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলছে। তাই এবার ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ) এবারের মিলন মেলায় আগ্রহ দেখায়নি। তবে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষেরা অনেকেই আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কয়েক মূহুর্ত দেখা করার জন্য এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন।

তারা জানান, মিলন মেলায় আসা অধিকাংশ মানুষের পাসপোর্ট ভিসা করা সম্ভব হয় না। তাই এই মিলন মেলায় এসে স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটানো হয়।

ভজনপুর এলাকার ডিমাগজ গ্রামের হাজেরা বেগম জানান, আমার মামাত ভাইদের সঙ্গে প্রতিবছর এই মিলন মেলায় একবার দেখা হয়। কিন্তু এবার হলো না। ওরা এসেছে। আমরাও এসেছি। কিন্তু দেখা করার অনুমতি পেলাম না।

অনেকদিন দেখা না হওয়া স্বজনদের জন্য অনেকে উপহার সামগ্রী নিয়ে আসেন। কিন্তু এবার তা ফেরত নিতে হয়েছে।

সাধারণত পয়লা বৈশাখ সদর উপজেলার অমর খানা সীমান্ত এবং পরদিন ২ বৈশাখ তেঁতুলিয়া উপজেলার সুকানী ও লালগজ সীমান্তে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু জানান, বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের করে মিলন মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

১৮ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক ল্যা. কর্ণেল এরশাদুল হক জানান, ভারতে লোক সভা নির্বাচনের কারণে বিএসএফ এবার মিলন মেলায় আগ্রহ দেখাননি । তাই এবার হচ্ছে না।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/হায়দার/তৌহিদ)