বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চথোয়াইমং কে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় জেএসএস এর কেন্দ্রীয় নেতা কেএস মং ও জেএসএস এর জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মার্মা সহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে পুলিশের একটি দল শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে।
অপহরণের তিনদিন পর বান্দরবান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চথোয়াইমং মারমার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার কুহালং ইউপির জর্ডান পাড়া এলাকার জঙ্গল তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে পাড়াবাসীরা জর্ডান পাড়ার কাছে জঙ্গলে একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চথোয়াইমং এর লাশ উদ্ধার করে।
প্রসঙ্গত, ২২মে বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চথোয়াইমং মারমাকে বালাঘাটার চড়ুইপাড়ার খামার বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে একদল উপজাতী সন্ত্রাসী অপহরণ করে নিয়ে যায়। এঘটনার জন্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএসকে দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়াও গত ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ করা হয় ফোলাধন তংচঙ্গা নামের অপর কর্মীকে। এখনো তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত ৯ ই মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে।
১৯মে বান্দরবানের রাজবিলায় আওয়ামী লীগের সর্মথক ক্য চিং থোয়াই মারমাকে (২৭) অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কবির/তৌহিদ)