ঢাবিতে ১২ সংগঠনের 'সন্ত্রাস বিরোধী জোট'

সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরাচারী শক্তি রুখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি ছাত্রসংগঠন একজোট হয়ে ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্রঐক্য’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্ল্যাটফর্মের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি আন্দোলন), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (বদরুদ্দীন উমর), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, স্বতন্ত্র জোট ও ছাত্র গণমঞ্চ৷

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, ছাত্রদলের অতিত ইতিহাস ভালো না। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সবকিছু বিবেচনায় আমরা ছাত্রদলকে এই সংগঠনের বাইরে রেখেছি।

‘ডাকসু ভবনে ঢুকে ভিপি নুরুল হকসহ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনার দিন প্রক্টরকে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নৃশংসতা বন্ধ করতে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও তিনি উপস্থিত হননি। উল্টো নানা কথা বলেছেন। হামলাকারী মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রক্টর দায়িত্ব পালনে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি লাগানো হয়েছে, অথচ সেই সিসিটিভির ফুটেজ তিনি রক্ষা করতে পারেন না। উপরন্তু তিনি ইনিয়ে-বিনিয়ে হামলাকারীদের পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ’

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে সন্ত্রাস ও দখলদারি জারি রেখে, শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে ক্যাম্পাসগুলোকে তারা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছে। প্রশাসন সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে সব সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ক্যাম্পাসগুলোতে চলছে প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র ও ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট শিক্ষাঙ্গনের এমন দমবদ্ধ ও অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য অর্জনের জন্য একেবারেই অনুপযোগী। শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের অধিকার ভূলুণ্ঠিত।

‘মতপ্রকাশ করা একজন শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক অধিকার হলেও বুয়েটের আবরার ফাহাদকে স্বাধীন মতপ্রকাশের কারণে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হতে হয়েছে৷’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)