দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক খুঁটিবিহীন শহর সিলেট

সিলেটের দরগাহ এলাকা মঙ্গলবার থেকে সম্পূর্ণ নতুন চেহারায় দেখে অনেকেই চমকে গেছেন। অনেকের কাছে বিশ্বাস হচ্ছিল না, এটি দরগাহ এলাকা। বিদ্যুতের খুঁটি নেই, নেই তারের জঞ্জালও। তবু জ্বলছে সড়ক বাতি।

সিলেট নগরীকে জিজিটাল স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এর অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ বোর্ডের অর্থায়নে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প সিলেট’ নামে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে নগরের বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচে নেয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে সাত কিলোমিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন মাটির নিচে নেয়া হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা।

এ প্রকল্পের অধীনে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজারের প্রধান ফটক থেকে মাজার পর্যন্ত সড়কের বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচে নেয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে দুই সপ্তাহ এ কার্যক্রম পরিচালনার পর সোমবার পুরোপুরিভাবে সড়কটি বৈদ্যুতিক খাম্বামুক্ত করা হয়। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ঝুলে থাকা তার ও বৈদ্যুতিক খুঁটিবিহীন শহর হিসেবে সিলেটের নাম উঠে এসেছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ১০-১৫ দিন ধরে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যবেক্ষণের পর পূরোদমে সরবরাহ শুরু হয়েছে। শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকা থেকে কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত পাইলট প্রকল্পে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইন চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো নগরের বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচে নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, উন্নত রাষ্ট্রের আদলে দেশে প্রথম সিলেটে মাটির নিচের বিদ্যুৎ লাইন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এজন্য রাস্তার দুই পাশের বিদ্যুতের খাম্বা ও অন্যান্য সার্ভিস লাইনের তার সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ কারণে মাজার এলাকা তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত হয়েছে, সৌন্দর্যও বেড়েছে। ’

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল