মালামাল পাঠাতে প্রবাসিদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়

এয়ারলাইন্সের মালামাল বহন নীতির কারণে দেশে ফিরতে প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র নিয়ে প্রবাসিদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। বাধ্য হয়ে স্মরণাপন্ন হন কার্গো অফিসের। কিন্তু মালামাল ঢাকায় পৌঁছার পর দীর্ঘদিন কাস্টমসে আটকে থাকায় নষ্ট হয়ে যায় প্রবাসীদের কস্টার্জিত টাকায় কেনা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।  

প্রবাসিদের দাবি, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে কার্গো ব্যবস্থা সহজ করলে একদিকে যেমন প্রবাসীরা পছন্দের পণ্য পৌঁছাতে পারবেন প্রিয়জনদের কাছে, অন্যদিকে সরকার পাবে মোটা অংকের রাজস্ব।

দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে  অথবা ছুটিতে দেশে যাওয়ার সময় প্রবাসিরা পরিবারের আব্দার মেটাতে নানা ধরণের কেনাকাটা করে থাকেন। কিন্তু স্বজনদের জন্য কেনা জিনিস দেশে নিয়ে যেতে বাধ সাধে বিমান সংস্থাগুলো। বর্তমান নিয়মে সৌদি আরব থেকে উড়োজাহাজে যাওয়ার সময় একজন যাত্রী সঙ্গে নিতে পারেন ৪০ থেকে ৫০ কেজি মালামাল। প্রবাসীরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মালামাল দেশে পাঠান কার্গো করে।

তবে কার্গোতে মালামাল ঢাকায় পৌছালেও ঢাকা কাস্টমস থেকে মালামাল খালাস করতে চলে যায় মাসের পর মাস। অযত্ম আর অবহেলায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় নস্ট হয়ে যায় প্রবাসীদের অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র। সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় এই কার্গো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি । বাংলাদেশে কাস্টমস জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছেন এই পেশায় জড়িত প্রবাসীরা।

আরও পড়ুন: কুয়েতে সাংসদ পাপুলসহ ৯ জনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু

রিয়াদের কার্গো ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়াদ কার্গো এ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, ঢাকা কাস্টমসের গুটি কয়েক কর্মকর্তার কারণে সম্ভাবনাময় এই সেক্টরটি থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।  

প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করে মালামাল খালাস সহজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ