আগুনমুখা নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজ ৫

দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টি লঞ্চঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে চালকসহ ১৩ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত পাঁচজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আগুনমুখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলাপাড়া সার্কেল আহম্মেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার জানা মতে স্পিডবোটে মোট ১৭ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১২ জন উদ্ধার হলেও পাঁজজন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

উদ্ধার যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এ সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছিল।

একদিকে বৃষ্টি। আরেকদিকে উত্তাল ঢেউ। এরমধ্যেই চালক স্পিডবোট নিয়ে আগুনমুখা নদী পাড়ি দেয়। পথিমধ্যে আগুনমুখা নদীর মাঝখানে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে স্পিডবোটটি তলিয়ে যায়।

দুর্ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর অপর দু’টি স্পিডবোট উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু পাঁচজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্পিডবোট কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এ রিপোর্ট পাঠানোর আগ পর্যন্ত তাদের কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।

উদ্ধার হওয়া রাঙ্গাবালীর বাহেরচর কৃষি ব্যাংক শাখার ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন জানান, ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্পিডবোটের সামনের অংশের তলা ফেটে যায়। যাত্রীরা বার বার চালককে স্পিডবোট ঘুরিয়ে ঘাটে নিয়ে আসতে বলেছে। কিন্তু চালক যাত্রীদের কথা শোনেনি।

কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটের আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের কোড়ালিয়াঘাটের ম্যানেজার বশির উদ্দিন বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, খবর শুনেছি। আমরা ঘাটে যাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ১৭ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট ছাড়ার কথা নয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে স্পিডবোট ছাড়াও ঠিক হয়নি। আমি ঘাটে এসেছি, খোঁজ খবর নিচ্ছি।

news24bd.tv তৌহিদ