করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে ইসলামে কোনো বাধা নেই। অনেকে দাবি করেন, ভ্যাকসিনে হারাম দ্রব্য ব্যবহৃত হয়েছে, তাই গ্রহণ করা যাবে না। হারাম দ্রব্য ব্যবহৃত হলে তা গ্রহণ করা যাবে কি না এ ব্যাপারে ইসলামে সুন্দর ব্যাখা রয়েছে। সর্বপ্রথম বলব, হাদিসের গ্রন্থের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, হারাম বস্তু দ্বারা তৈরি প্রতিষেধক ব্যবহার করতে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু জীবন বাঁচানোর জন্য হারাম দ্রব্য ব্যবহৃত পণ্য ব্যবহার করা দোষণীয় নয়। বিশেষত যে রোগের প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। কিংবা হালাল কোনো প্রতিষেধক না থাকে তখন অবশ্যই হারাম উপাদান থাকলেও সেই ভ্যাকসিন কিংবা টিকা গ্রহণ করা জায়েজ আছে। কেননা মহান আল্লাহ সবার অন্তরের খবর জানেন।
এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘একান্ত নিরুপায় অবস্থায় গুনাহ করার ইচ্ছা ছাড়া শুধু জীবন বাঁচানোর জন্য হারাম খাদ্য খেলে কোনো অপরাধ নেই। ’ (সুরা বাকারা : ১৭৩) আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, একটি রোগের জন্য হারাম কিংবা হালাল প্রতিষেধক থাকলে অবশ্যই আমাকে হালাল প্রতিষেধক গ্রহণ করতে হবে। আর যদি হালালটা না থাকে তা হলে সে হারামটা গ্রহণ করতে সমস্যা নেই। অতএব ওষুধ বা প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন বা টিকা হালাল কোনো কিছু নেই তবে নিরুপায় হয়ে অবশ্যই হারামটা গ্রহণ করা জায়েজ আছে।
দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ 'জুমার’ দিনের গুরুত্ব ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ শিরক কবর আজাব থেকে বাঁচতে যে দুয়া বিশ্বনবি শিখিয়েছেন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ `জুমার’ দিনে যা করবেন ইসলামে নিজেকে নিজে মেরে ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা সুরা মায়েদার ৩নং আয়াতে বলেন, ‘গুনাহ করার ইচ্ছা ছাড়াই কেউ যদি জীবন বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে হারাম খায় তার জেনে রাখা উচিত আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। ’ হ্যাঁ, অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালা দয়ালু। তিনি তার বান্দাদের খুব ভালোবাসেন। তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ রোগ দিয়েছেন আবার সেই রোগের চিকিৎসাও রয়েছে।হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ যে রোগ দিয়েছেন, প্রতি রোগের চিকিৎসা রয়েছে। ’ (আবু দাউদ)। করোনা ভ্যাকসিনে হারাম দ্রব্য ব্যবহার হলে সুস্থ থাকার জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত হালাল দ্রব্য দ্বারা প্রতিষেধক তৈরি বা নিজের সাধ্য না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহার করা দোষণীয় হবে না। অতএব, আমরা নিঃসন্দেহে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারি। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।
news24bd.tv/আলী