এরকম পাশবিক আচরণ আমাদের সময়ে ছিল

সর্বমোট পাঁচ বছর হাফেজী মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ হয়েছে। আল্লাহ আমাকে তার পবিত্র কোরআন ধারণ করার তাওফিক দিয়েছেন। এরকম পাশবিক আচরণ আমাদের সময়ে ছিল, এখনও আছে এটা দেখে অবাক হয়েছি। দশ বছর বয়সে মাদ্রাসায় গিয়েছি (অনেকেই আরও ছোট বয়সে যায়)।  

হাত থেকে প্লেট পড়ে গিয়ে শব্দ হওয়ার কারণে মার খেয়েছি, ঘুম থেকে উঠতে ২/৩ মিনিট দেরি হওয়ায় মার খেয়েছি, লাইট বন্ধ করার পরে কথা বলার কারণে মার খেয়েছি- এরকম অসংখ্য অযুহাতে ছাত্রদের বেত্রাঘাত করা হয় যার বেশিরভাগই বয়সের বিবেচনায় কোন অপরাধই না। মাদ্রাসার সবচেয়ে কম বয়সের ছাত্ররা হেফজখানায় পড়ে। তাদের মনস্তত্ত্বকে বুঝার, তাদের প্রতিভাগুলোকে বিকশিত করার কোন ব্যবস্থাই নাই।  

মমতার মাথায়, কপালে এবং পায়ে চোট, আনা হচ্ছে কলকাতায়

হবু শ্বশুরকে আউট করে লজ্জায় পড়ে গেলেন শাহীন আফ্রিদি (ভিডিও)!

সেই বাস চালক- হেলপার রিমান্ডে

সরকারি চাকরিজীবিরা আরও ছাড় পাচ্ছেন!

এই অমানবিক ব্যবস্থার কারণেই যারা ভর্তি হয় তাদের ২০-৩০ % হিফজ শেষ করতে পারে, বাকিরা ঝরে যায়। মাদ্রসাগুলোর উচিৎ নিজ উদ্যোগে শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা উচিৎ।

আর অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলব, নিজের সুদ,ঘুষ, দুর্নীতি আর আকাম-কুকাম অব্যহত রেখে হাফেজের বাবা-মা হিসেবে জান্নাতে চলে যাবেন এমন ভাবনা থেকে বের হয়ে আসুন। আপনার সন্তানের মনস্তত্ত্ব বুঝার চেষ্টা করুন। হাফেজী পড়া ফরয কিংবা ওয়াজীব নয়।

(ফেসবুক থেকে)

news24bd.tv / কামরুল