চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশ সঙ্গে হেফাজত ইসলামের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় হাটহাজারী থানা ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশের ছিনিয়ে নেয়া অস্ত্র ঊদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে হাটহাজারী সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দীন তালুকদার জানান, হাটহাজারীতে গুলিবিদ্ধ ৮-৯ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার মো. রবিউল ইসলাম, মাদারীপুরের মো. মেহরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহের মো. আব্দুল্লাহ মিজান এবং হাটহাজারীর মো. জসিম।
জানা যায়, মৃত্যুবরণ করা ৪ জনের মধ্যে ৩ জন মাদ্রাসা ছাত্র এবং ১ জন পথচারী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আহতদের ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুরে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।
মিছিল থেকে হঠাৎ হাটহাজারী থানা, ভূমি অফিস, ডাক বাংলোসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হেফাজত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ছুঁড়লে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) শাহাদাত হোসেন জানান, হঠাৎ থানায় হামলা করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
ত্রিমুখী সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে আগুন, ঝরে গেল ১৭ প্রাণ
'শিশু বক্তা' দীর্ঘদিন ধরেই গ্রেপ্তার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন
সাকিবকে ধন্যবাদ আলোচনাটা শুরু করার জন্য
৫ বছরের শিশুর মা হওয়ার অমীমাংসিত রহস্য
news24bd.tv / কামরুল