‘মাওলানা মামুনুল হক একজন নারী নিয়ে রিসোর্টে এসেছেন’-এইটুকু তথ্যের ভিত্তিতে যে সব উৎসাহী লোকজন রিসোর্ট ঘেরাও করেছেন- তাদের আমি বিপদজনক মানুষ মনে করছি। এই ধরনের লোকেরাই ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে’ কিংবা নানা গুজবে বা গুজব ছড়িয়ে নিরাপরাধ মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
মামুনুল হক দাবি করেছেন তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অবকাশ কাটাতে রিসোর্টে এসেছেন। পরস্পরের সম্মতিতে দুই জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ রিসোর্টে অবকাশ কাটাতে গেলে- সেটি বাংলাদেশের কোনো আইনের ব্যতয় ঘটে কি না- সেটি আইনজ্ঞরা বলতে পারবেন।
মামুনুল হকের বেলায় আইনের চেয়েও নৈতিকতার প্রশ্নটি বড় হয়ে উঠবে- তিনি যদি সম্পর্কহীন কোনো নারীকে নিয়ে স্রেফ অবকাশ কাটাতে যান। সেই প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক এমনকি তার সমালোচনাও করা যেতে পারে। কিন্তু দল বেঁধে রিসোর্টে তাকে ঘেরাও করাকে কোনোভাবেই উৎসাহ দেয়া যায় না।
স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলাম, আমি হেনস্তার শিকার: মাওলানা মামুনুল হক
মামুনুল হকের সমর্থকরা সেই রিসোর্ট ভাঙচুর চালাচ্ছে (ভিডিও)
সেই রিসোর্ট থেকে মামুনুল হককে নিয়ে গেল তার সমর্থকরা
মামুনুল হকের রাজনীতি নিয়ে আমার ভিন্নমত আছে, তার নেতৃত্বে হেফাজতের সাম্প্রতিক তান্ডবের প্রবল সমালোচক আমি। হেফাজতের সহিংসতার জন্য, উগ্রবাদ ছড়ানোর জন্য মামুনুলের নেতৃত্বের আমি সমালোচনা করি। কিন্তু ‘নিজ স্ত্রীকে’ নিয়ে (মামুনুলের ভাষ্য অনুসারে, এমন কি স্ত্রী না হলেও) একান্তে সময় কাটাতে যাওয়া মাওলানা মামুনুলকে হেনস্তা করাটা মোটেও সমর্থযোগ্য নয়।
অতিউৎসাহীদের বিচারক সাজার এই বিপদজনক প্রবণতাকে কোনোভাবেই উৎসাহ দেয়া যায় না।
শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ
news24bd.tv নাজিম