রোজিনার ঘটনা অন্য সাংবাদিকদের জন্যে সুস্পষ্ট বার্তা

একজন সাংবাদিককে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে আটক করে, হেনস্তা করার পরে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। প্রথম আলো’র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হেনস্তা করা, তাঁকে আটক করার ঘটনা বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেননি।  

এই ঘটনার নিন্দা জানানোই যথেষ্ট নয়, এর বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিবাদ এবং এই ধরণের নিপীড়নমূলক আচরণের জন্যে যারা দায়ী তাঁদের বিচার নিশ্চিত করার জন্যে এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।  

দলীয় পরিচয়ে বিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো এই বিষয়ে কিছু করবেন, বা বিবৃতি দেয়ার বেশি কোন ধরণের পদক্ষেপ নেবেন তেমন আশা করার কারণ নেই। কিন্ত সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্তদের সকলেরই এই মুহূর্তে দরকার সম্মিলিত পদক্ষেপ নেবার কথা বিবেচনা করা।  

দেশের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে অবিলম্বে এই বিষয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি, রোজিনা ইসলামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং এই ধরণের আচরণ বন্ধের নিশ্চয়তা আদায় করা।  

রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার ঘটনা সাংবাদিকদের ওপরে হামলার নতুন অধ্যায়, কিন্ত নতুন ঘটনা নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়েই সাংবাদিকরা বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছেন। তাঁদের পাশে দাড়ানোর লোক পর্যন্ত নেই। সাংবাদিকদের অনৈক্য, দলীয় বিভক্তি এবং পেশাদারী মনোভাবের অনুপস্থিতি এই ধরণের নির্যাতন নিপীড়নকে ক্রমাগতভাবে স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত করেছে।

সাংবাদিক রোজিনার পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ 

যুদ্ধবিরতির জন্য ফিলিস্তিনিদের শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হবে ইসরাইল: হামাস

রোজিনার মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানার সামনে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

আরশের ছায়াতলে আশ্রয় পাবেন যে সাত ব্যক্তি

এই ঘটনা এবং আগেও অসংখ্য ঘটনায় সাংবাদিকদের ওপরে নির্যাতনের কারণ স্পষ্ট – যখনই কোনও সাংবাদিক ক্ষমতাসীনদের – স্থানীয় বা জাতীয় পর্যায়ে–জবাবদিহির মুখোমুখির চেষ্টা করেছেন সেই সময়েই তাঁদেরকে হয়রানি, নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। জবাবদিহির অনুপস্থিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যে কোনও ধরণের জবাবদিহি দাবি করলেই তার পরিণতি হয় নির্যাতন, নিপীড়ন। এই ঘটনা অন্য সাংবাদিকদের জন্যে সুস্পষ্ট বার্তা – তাঁরা সেটা শুনতে/বুঝতে পারছেন কিনা সেটাই আমার প্রশ্ন।

news24bd.tv নাজিম