এস কে সিনহার মামলার রায় আজ, অভিযোগ প্রমাণ হলে যে শাস্তি পাবেন

ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।    

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ধারাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ফলে মামলার ধারা অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

এদিকে দুদকের প্রত্যাশা আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন।  

এ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি। অন্য সাত আসামি তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করেন।

‘মানিলন্ডারিং আইনের ৪(৩) ধারায় বলা আছে, আদালত কোনো অর্থদণ্ড বা দণ্ডের অতিরিক্ত হিসেবে দণ্ডিত ব্যক্তির সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যাহা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানিলন্ডারিং বা কোনো সম্পৃক্ত অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত বা সংশ্লিষ্ট। ’

দুদক আইনের ৫(২) ধারায় বলা আছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী অপরাধমূলক অসদাচরণ করিলে বা করার উদ্যোগ গ্রহণ করিলে তিনি সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের যোগ্য হইবেন। ’ 

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন প্রত্যাশা করছি। আশা করছি রায়ে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে

তিনি আরও বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে তিন ধারায় অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি তিন ধারায়ই আসামিদের শাস্তি দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

যে কারণে পরকালে জান্নাত হারাম

৬ ঘণ্টা পর সচল হলো ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম

বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন মমতা

প্যানডোরা পেপার্স: বিশ্বনেতাদের দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর রহমান বলেন, আসামি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) ও ফারমার্স ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হকের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। আশা করছি আসামিরা খালাস পাবেন।

উল্লেখ্য, দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

news24bd.tv রিমু