উন্নয়নের বিষে বাংলাদেশ লাল হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, গণতন্ত্রকে মূলমন্ত্র ধরে যে দেশের জন্ম হয়েছিল সেই দেশে গত এক যুগে চালু হয়েছে আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র, সীমিত গণতন্ত্র। বেশি উন্নয়ন, কম গণতন্ত্র। উন্নয়নের গণতন্ত্র নামক অদ্ভুত সব স্লোগান।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় রুমিন ফারহানা বলেন, আজকে ভাবতে অবাক লাগে ইয়াহহিয়ার মতো একজন সামরিক শাসকের অধীনেও ৭০-এ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল- সোনার বাংলা শ্মশান কেন৷ যেখানে বঞ্চিত, শোষিত পূর্ব পাকিস্তানের কোনো দল ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সুষ্ঠু নির্বাচন, ভোটাধিকার প্রয়োগ, নিজের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন বিনা প্রতিবাদে সেই জনরায়কে মেনে নেওয়া এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, যেটা না হলে একটা দেশ ভেঙে নতুন আরেকটা দেশের জন্ম হতে পারে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে এখন অর্থনৈতিক বৈষম্য অকল্পনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য হিসাব করলে আজকের স্লোগান হবে সোনার বাংলা নরক কেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পড়লে পরিষ্কার হয় যে, ৭০-এর নির্বাচন মেনে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে তখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। নির্বাচনে বিজয়ের পরেও ক্ষমতা হস্তান্তরকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আবারও প্রাণ কারল সিটি করপোরেশনের গাড়ি
তিনি আরো বলেন, দেশে সরকারি দলের নেতাকর্মী, দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কিছু ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী, অর্থাৎ ১০ শতাংশ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে অনেক গুণ। অর্থনৈতিক বৈষম্যের সঙ্গে সামাজিক-রাজনৈতিক বৈষম্যের হিসাব করলে আজকের স্লোগান হবে, ‘সোনার বাংলা নরক কেন?'
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক অধিকার, সরকারের কার্যকারিতা, তথ্যের স্বাধীনতা, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার পাওয়া, মতপ্রকাশ, সমাবেশ করা, ধর্ম পালনসহ ১৬টি বিষয়ে বাংলাদেশ ‘রেড জোনে’ আছে। আগের চেয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। বাংলাদেশের রিপোর্ট কার্ড লালে লাল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
news24bd.tv/তৌহিদ