এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপিতেও জামানত হারালেন সেই আশরাফুল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও নবীনগর উপজেলার ১৪টি ইউপিতে ৬ষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন একেএম আশরাফুল আলম। তার প্রতীক ছিল টেলিফোন। কিন্তু ফলাফল অনুযায়ী তিনি জামানত হারিয়েছেন।

জানা গেছে, একেএম আশরাফুল আলম পেশায় আইনজীবী। তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রতীক হারিকেনে তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৯৭ ভোট। ফলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় আশরাফুল আলমের।

এরপরের বছর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম আশরাফুল আলম। মাইক প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনি ভোট পান ২৭৩৯টি। এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাকির হোসেন সাদেক চশমা প্রতীকে ২৪ হাজার ৯১১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। ফলে সেবারও তিনি জামানত হারান।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিটঘর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন একেএম আশরাফুল আলম। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মেহেদী জাফর ৬৭২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।   আর একেএম আশরাফুল আলম টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ ভোট। এই ইউনিয়নে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১৩ হাজার ৭১৫ ভোট।

নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রদত্ত বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সে অনুযায়ী বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৩ হাজার ৭১৫ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ১৭১৪ ভোট যেসব প্রার্থীরা পাননি তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

আরও পড়ুন

কুমিল্লায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

news24bd.tv এসএম