ইসরাইলের গুলির শব্দে ফিলিস্তিনিদের লোকনৃত্য

গুলির শব্দ তাদের কাছে এখন আর নতুন কিছু নয়। আর তাই ইসরাইলের সেনারা যখন মহুর্মুহু গুলি ছুড়তে শুরু করেছে, ফিলিস্তিনি যুবকরা তখন প্রাণভয়ে পালানোর বদলে গুলির শব্দে শুরু করে দিলো নৃত্য। হঠাৎ এমন প্রতিক্রিয়ায় থমকে যায় ইসরাইলি সেনারা। গুলিও কিছুক্ষণের জন্য থেমে যায়। তবে মাত্র কয়েক মিনিট। তার পরই শুরু করে গুলি। খবর রাশিয়া টুডের।

যাদেরকে ঠেকাতে ইসরাইলের রণসজ্জিত সেনাদের নানা আয়োজন সেই সর্বহারা ফিলিস্তিনিদেরই যেন কোনো বিকার নেই। সামনে তাক করা ভারী অস্ত্র, কামান, মর্টার সেল যেন তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তাই প্রাণ ভয়ে পালানো নয়, উল্টো গুলির শব্দে নাচ-গান শুরু করে দিল বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্নস’ আন্দোলনে এই দুঃসাহসিক ব্যঙ্গ বিক্ষোভ দেখায় ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলি সেনার স্নাইপারদের বুলেটের সামনে আরবি লোকনৃত্য ‘ড্যাবকে’ নাচলেন ফিলিস্তিনি যুবকরা।

ফিলিস্তিনিদের কাঁটাতার পেরিয়ে ইসরাইলে ঢোকার চেষ্টা আটকাতে ইসরাইলি স্নাইপাররা যখন বুলেট ছুড়তে শুরু করে, ঠিক তখনই একজোট হয়ে ড্যাবকে নাচতে দেখা যায় বিক্ষোভরত যুবকদের। বুলেটের শব্দকেই বাজনায় বদলে ফেলেন তারা। হাতে দড়ি, পতাকা নিয়ে গোল হয়ে নাচতে শুরু করেন। ছেলেদের সঙ্গ দেন মেয়েরা। নাচের সঙ্গেই গানেও গলা মেলান তারা। শুধু তরুণ প্রজন্ম নয়, ড্যাবকের তালে পা মেলাতে দেখা যায় বয়স্কদেরও।

দলবদ্ধ এই নৃত্যের কিছুক্ষণ আগেই ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলিতে ১৪ বছরের এক কিশোরসহ দু’জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় কমপক্ষে ১২৪ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি স্নাইপারদের বুলেটে ১৩০ জন মারা গেছেন।