বগুড়ার শাজাহানপুরের শফিকুল ইসলাম নামে নিখোঁজ এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে একই উপজেলার শাকপালা মুন্সিপাড়া গ্রামের বাঁশবাগানের মধ্যে একটি ডোবায় তার লাশ পাওয়া যায়। বাগানটি মাদকাসক্তদের আস্তানা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
নিহত শফিকুল শাকপালা গোয়ালগাড়ী গ্রামের বাচ্চু সরকারের ছেলে। সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। আটককৃত মাসুদ একই গ্রামের বাসিন্দা ও সুমন নিহতের আপন শ্যালক।
নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম জানান, সোমবার রাত থেকেই নিখোঁজ হন তার স্বামী। এরপর থেকে তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার লোকমুখে তার লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। সুমনের সঙ্গে শফিকুলের দ্বন্দ্ব ছিল। সুমন মাদকাসক্ত। শফিকুলও মাঝেমধ্যে গাঁজা সেবন করতেন। নেশার প্রলোভন দেখিয়ে শাকপালা মুন্সিপাড়ার বাঁশবাগানে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এরপরে ডোবায় ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখা হয় লাশ। ওই বাগানে সব মাদকাসক্তরা আড্ডা দেয়।
নিহতের শ্বশুর ও আটককৃত সুমনের বাবা সিরাজ সরদার জানান, বুধবার সকালে রকি নামে আট বছর বয়সী এক শিশু ডোবার কচুরিপানায় ঢাকা শফিকুলের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। এরপর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে শফিকুলকে সেলুন থেকে ডেকে বাঁশাবাগনে নিয়ে যায় সুমন। এক পর্যায়ে সেখানেই তাকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। তাকে গলাকেটে ও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
শাজাহানপুর থানার কৈগাড়ী পুলিশফাঁড়ির এসআই হাসান হাফিজার রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাকে গলা কেটে ও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
news24bd.tv/আলী