স্ত্রীর জন্য যেমন বাসস্থান প্রয়োজন 

প্রতীকী ছবি

স্ত্রীর জন্য যেমন বাসস্থান প্রয়োজন 

মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

‘তোমরা স্ত্রীদের জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজেদের ঘরে বাসস্থানের ব্যবস্থা করো। ’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৬)

শরিয়ত অনুযায়ী, স্ত্রী বিত্তবান হলেও স্বামীর ওপর স্ত্রীর ভরণপোষণের ব্যয়ভার বর্তায়। ভরণপোষণের ব্যাপারে ইসলাম কোনো পরিমাপ নির্ধারিত করে দেয়নি। বরং স্ত্রীকে প্রয়োজন পরিমাণ ভরণপোষণ দেওয়া স্বামীর কর্তব্য।

এর পরিমাণ পরিবেশ-পরিস্থিতি, অবস্থা ও স্বামীর সামর্থ্যনির্ভর। (আলমুহিতুল বুরহানি : ৩/৫২৯-৫৩০, ফাতহুল কদির : ৩/১৯৪)

স্বামী যদি বিহিত কোনো কারণ ছাড়া স্ত্রী-সন্তানের তথা সাংসারিক জরুরি খরচ না করে, তাহলে স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়াও স্বামীর সম্পদ থেকে প্রয়োজনমতো অপচয় না করে খরচ করতে পারবে।

অন্যদিকে স্ত্রীর বাসস্থান সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা স্ত্রীদের জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজেদের ঘরে বাসস্থানের ব্যবস্থা করো। ’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৬)

এর ব্যাখ্যা হলো, স্ত্রী যদি উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে হয়, তাহলে সে যদি স্বামীর যৌথ পরিবার থেকে ভিন্ন ঘরের দাবি করে, তাহলে স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে ভিন্ন ঘরের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

স্বামীর মা-বাবার সঙ্গে যৌথভাবে থাকতে স্ত্রী বাধ্য নয়। আর মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হলে তাকে স্বামীর পরিবারের সঙ্গে এক ঘরে রাখা গেলেও তার পৃথক কক্ষ, টয়লেট-গোসলখানা রান্নাঘরসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস ভিন্ন করারও দাবি করতে পারবে। এ ক্ষেত্রেও স্বামীর পরিবারের সঙ্গে যৌথভাবে থাকতে স্ত্রীকে বাধ্য করা যাবে না। আর নিম্নবিত্ত পরিবারের হলে টয়লেট-গোসলখানা, পাকের ঘর ইত্যাদি ভিন্ন দিতে বাধ্য না হলেও তার জন্য একটি পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে, যার হস্তক্ষেপ স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ করতে পারবে না। ওই কক্ষে স্বামীর মা-বাবা, ভাই-বোন বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে না। স্ত্রীর এমন সংরক্ষিত কক্ষ দাবি করার অধিকার আছে। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২৩, রদ্দুল মুহতার : ৩/৬০১)