পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত জাহাঙ্গীরের বাড়িতে শোকের ছায়া

সংগৃহীত ছবি

পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত জাহাঙ্গীরের বাড়িতে শোকের ছায়া

নীলফামারী প্রতিনিধি

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সময় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। তারা সবাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য।  নিহত তিনজনের মধ্যে সৈনিক জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে।

তিনি লতিফর রহমানে ছেলে। জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সেবাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোবাইলে জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বলে জানান নিহতের ছোট ভাই বাদশা।  

নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই সেনা সদস্য কর্পোরাল আবুজার রহমান জানান, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন জাহাঙ্গীর।

১০ মাস আগে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতেন্ত্রর ব্যানব্যাট-৮ এলাকার শান্তিরক্ষী মিশনে যান তিনি। মঙ্গলবার (৪অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে (বাংলাদেশ সময়) মাটিতে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে তিনিসহ তিন বাংলাদেশি সেনা সদস্য নিহত হন।

জাহাঙ্গীরের নিহতের খবরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন বাবা লতিফর রহমান। মা গোলেনুর বেগম বিছানায় প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন। সদ্য বিবাহিত স্ত্রী শিমু আক্তার স্বামীর ছবি বুকে জড়িয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এ খবরে প্রতিবেশীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে শোক ছায়া।

জাহাঙ্গীরের বড় ভাই আবুজার দ্রুত ভাইয়ের মরদেহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্র আসেনি বলে জানিয়েছেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্রকতা বেলায়েত হোসেন।

news24bd.tv/হারুন