পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে ২৫০০ কোটি রুপি আত্মসাৎ

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে ২৫০০ কোটি রুপি আত্মসাৎ

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা বাহিনীর হিসেবে আড়াই হাজার কোটি রুপি আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দেশটির অডিটর জেনারেল। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ২১০০ কোটি রুপি আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে ১৬০০ কোটি করে আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত 'প্রো-পাকিস্তানি' নামক সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়- শুধু সেনা, বিমান বা নৌ বাহিনী নয়, বরং আন্তঃবাহিনী সংস্থাগুলোর মধ্যে ৬ কোটি ৬০ লাখ রুপি, মিলিটারি অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল ২০ কোটি ৩০ লাখ রুপি ও মিলিটারি ও ক্যান্টনমেন্টে ২০০ কোটি রুপি বাজেটের গরমিল পাওয়া গেছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হিসেবেই ১৮০০ কোটি রুপি দুর্নীতির নজির রয়েছে। কোনরকম বৈধ বিডিং ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে এটি দোকান ও বেশ কয়েকটি পণ্য দখলের অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া অসম্পূর্ণ চুক্তির মাধ্যমে ২০০ কোটি রুপির অনিয়মের আলামতও পাওয়া গেছে, যা আইন পরিপন্থী।

পেশোয়ারের সামরিক হাসপাতালে একটি ফারমাসিউটিকাল কোম্পানিকে অবৈধভাবে যুক্ত করা হয়েছেও বলে বেরিয়ে এসেছে তদন্তে।

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলারিটি অথোরিটি এর জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে ১ কোটি রুপির অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে। হিসেব মেলেনি আরও ১৩ কোটি ২০ লাখ রুপির লেনদেনেরও।

পাকিস্তানি বিমান বাহিনী বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৬১ কোটি রুপির গ্যাস ব্যবহার করেছে যা পিপিআর আইনের পরিপন্থী। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৪৮ কোটি ১০ লাখ রুপির লেনদেনের আলামতও পাওয়া গেছে।

অডিট রিপোর্ট থেকে আরও জানা যায়, বিমান বাহিনী ১৮ কোটি ৮০ লাখ রুপির অপ্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রী কিনেছে এবং ১০ কোটি ২০ লাখ রুপি ব্যয় করে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি করেছে। ৮ কোটি ৩০ লাখ রুপি দিয়ে কিনেছে ক্রুজ বোট। বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের আবাসন প্রকল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহে অবৈধভাবে ৫ কোটি ২০ লাখ রুপি লেনদেনের প্রমাণও পাওয়া গেছে।

এ ছাড়াও বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে হাসপাতাল উন্নয়ন তহবিলে ৩৮ মিলিয়ন ডলারের অনিয়ম পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ রুপির। ফিটনেস ক্লাবে অননুমোদিতভাবে ব্যয় করা হয়েছে ৪০ লাখ রুপি।

অডিটের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৪০ লাখ রুপির উপহার অবৈধভাবে কিনেছে আন্তঃবাহিনী সংস্থাগুলো। এরমধ্যে তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ রুপির স্টেশনারি পণ্য।

মিলিটারি ল্যান্ড অ্যান্ড ক্যান্টনমেন্ট খাতে ২০০ কোটি রুপির অনিয়ম পাওয়া গেছে। হায়দ্রাবাদ সেনানিবাসে চারটি ফ্লোরের অবৈধ নির্মাণকাজেরও আলামত পাওয়া গেছে।

অডিট রিপোর্টে এমন আরও নিয়ম ও অবৈধ ব্যয় বেরিয়ে এসেছে। যেখানে দেখা গেছে প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। পাবলিক ও মিউনিসিপাল সার্ভিসের বাস্তবায়ন হয়নি, মানা হয়নি কোনও অভ্যন্তরীণ নিয়মও।

news24bd.tv/কামরুল