১০ জেলায় দুপুরের মধ্যে ঝড়োবৃষ্টি-বজ্রপাতের শঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

১০ জেলায় দুপুরের মধ্যে ঝড়োবৃষ্টি-বজ্রপাতের শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাত, বাতাসের গতিবেগ বাড়বে এবং বজ্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার ভোর ৫টার পর থেকে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পূর্ব/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

হাফিজুর রহমান জানান, দেশের অন্যত্র পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি এবং বজ্র বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকলেও আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকবে।

অর্থাৎ আজ থেকে সারাদেশেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ছে। বিশেষ করে উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকবে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৬) বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় (অক্ষাংশ: ১৬.৩° উত্তর, দ্রাঘিমাংশ: ৮৮.২° পূর্ব) অবস্থান করছে।

এটি রোববার সন্ধ্যা ৬টায় (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন...

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার ভোরে

ঘূর্ণিঝড়সিত্রাংয়ের অবস্থান দেখুন সরাসরি 

সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ

অবশেষে 'সিত্রাংয়ে' পরিণত গভীর নিম্নচাপটি, নং সতর্কতা জারি

বিশ্বের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের বেশির ভাগই বাংলাদেশে

news24bd.tv/ইস্রাফিল