সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মারধর, বরখাস্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

সংগৃহীত ছবি

সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মারধর, বরখাস্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসানের উপর হামলার মামলায় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মোহাম্মদ ছাকায়াত হোসেনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম। তিনি বলেন,  বুধবার সকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজোয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত চিঠি মেইলে পেয়েছি। গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

 

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর রোববার রাতে হাতিয়া উপজেলার সদর ওছখালীতে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান (৩৯) হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ছাকায়াত হোসেন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা করেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

জানা যায়, ১৬ অক্টোবর শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল রাত ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন। উপজেলা শহীদ মিনার এলাকায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ছাকায়েতসহ ৮ থেকে ৯ জন মুখোশধারী তার গতি রোধ করেন।

এরপর তারা কামরুল হাসানকে বেধড়ক পেটায়।  

এর আগে, ছাকায়াত হোসেন গণিত অলিম্পিয়াড প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের কাছে ‘৫০০ টাকা করে চাঁদা’ দাবি করেন। তাতে রাজি না হওয়ায় এক শিক্ষককে মারধর করেন তিনি। এ ঘটনার ছাকায়েতের বিচার চেয়ে সোমবার শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপি দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাকায়াত এ হামলা চালান।

news24bd.tv/হারুন