রান পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার স্বপ্নে টাইগারদের হামাগুড়ি

সংগৃহীত ছবি

রান পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার স্বপ্নে টাইগারদের হামাগুড়ি

অনলাইন ডেস্ক

সাউথ আফ্রিকার ছুড়া ২০৬ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা হয়েছিল অনেকটা এরকম, রেলগাড়ি ঝমাঝম। তবে খানিক পরই পা পিছলে আলুর দম হয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। প্রথম দুই ওভারে ২৬ রান তোলা বাংলাদেশ পা হড়কায় খানিক পরই। এরপর হামাগুড়ি দিয়েও যেতে পারেনি বেশি দূর।

বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ১০৪ রানে।

এদিন প্রোটিয়াদের রান পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারের পরপর দুই ছক্কায় ১৭ রান আসে। এর পরপরই পাশার দানে ভিন্ন চাল দেয় সাউথ আফ্রিকা।

নর্টজেকে বোলিংয়ে এনে একে একে তুলে নেন সৌম্য, শান্ত ও সাকিবকে। তবে সাকিবের ফেরায় কিছুটা দায় আছে তারও। নর্টজের গতি সামলাতে গিয়ে পায়ে লাগে বল। রিভিউ নেননি আত্মবিশ্বাসী সাকিব। পরে দেখা যায় রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন তিনি।

এরপর উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন লিটন। তবে সমর্থন পাননি বাকি ব্যাটারদের থেকে। ক্যাচ দিয়ে ছিলেন তিনিও। তবে লুফে নিতে পারেনি প্রোটিয়া ফিল্ডাররা। পরে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই। লিটনের ৩১ বলে ৩৪ রানে ফেরার পর দলীয় রান ১০০ না পেরনোর শঙ্কা ঝেঁকে বসে। পরে তাসকিন-মোস্তাফিজের কল্যাণে কোনো রকমে ১০০ পেরোই সাকিবের দল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে। ফলাফল বাংলাদেশ ১০৪ রানে হেরেছে ম্যাচ।

প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ৪উইকেট নিয়েছেন নর্টজে। তাবরাইজ শামসির শিকার ৩টি।

এর আগে চলতি বিশ্বকাপে রাইলি রোসোর প্রথম শতকে ভর করে রান পাহাড়ের চূড়ায় ওঠে প্রোটিয়ারা। এ দিন বাংলাদেশি বোলারদের কাউকেই গুনায় ধরেনি প্রোটিয়া ব্যাটার রাইলি রোসো ও ডি কক। আগ্রাসী মেজাজে যখন যেভাবে খুশি ব্যাট চালিয়েছেন কোনো সংকোচ না করেই। রানও এসেছে তাতে। চলতি বিশ্বকাপে রাইলি রোসোর প্রথম শতকে ভর করে রান পাহাড়ের চূড়ায় ওঠে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৬ রান।

এদিন জয় পেতে মরিয়া হয়ে ওঠা সাউথ আফ্রিকা টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানায়। আগের ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় মনে হয়ত ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভের রোষানলে পুড়েছে বাংলাদেশি বোলারা। প্রথম ওভারে টেম্বা বাভুমাকে ফেরানোর পর জুটি গড়েন রোসো-কক।

দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিং ভয় বাড়াচ্ছিল বাংলাদেশি বোলারদের মনে। কেউই যখন উইকেট পাচ্ছিলেন না দলীয় অধিনায়ক সাকিব আফিফের শরণাপন্ন হন। তাতেই ধরা দেয় সাফল্য। প্রোটিয়াদের বড় রানের ভিত গড়ে দিয়ে আউট হন ডি কক।

আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩ ছয় ও ৭ চারে ৬৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তার আগে ফিরতে পারতেন রোসোও। ৯০ রানে থাকা কালীন তাসকিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন রোসো। তবে সহজ ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি হাসান মাহমুদ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন রোসো।

ডি কক ফিরলেও চালকের আসনে থাকা প্রোটিয়াদের হাতেই ছিল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। ডি ককের দেখানো পথ অনুসরণ করেছেন পরের ব্যাটাররা। তাতে প্রোটিয়াদের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট খরচায় ২০৫ রান। দলকে রান পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যাওয়া রোসোর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ বলে ৮ ছয় ও ৭ চারে ১০৯ রান। সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন আগের ম্যাচ জয়ের নায়ক তাসকিন। ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ উইকেট খরচায় ৪৬ রান খরচ করেছেন তিনি।
৪ ওভারে ১ উইকেট খরচায় হাসানের খরচ ৩৬। ৩ ওভারে ২ উইকেট নেওয়া সাকিব দিয়েছেন ৩৩ রান।

news24bd.tv/আমিরুল

এই রকম আরও টপিক