জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বর্তমান আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত চৌধুরীকে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিট। গ্রেপ্তার ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিটিটিসি জানায়, গত বছর আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদের জন্য রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’ উভয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিজরত (একটি উদ্দেশ্য নিয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গমন) করেন।
গণমাধ্যমে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ওরফে ইসা ওরফে আরাফাত ওরফে আনোয়ার ওরফে আনবির (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২)।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত চৌধুরীর মাধ্যমে দাওয়াতপ্রাপ্ত হন।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আনসার আল ইসলাম সিলেট আঞ্চলিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন ডা. রাফাত। টার্গেট হিসেবে ধর্মভীরু তরুণদের জিহাদি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। ২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদ করার জন্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) উভয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিজরত করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ‘আরএসও’ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ডা. রাফাত। তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালের জুলাই মাসে রাফাতের নেতৃত্বে সিলেট থেকে ১১ জন একসঙ্গে আরাকানে যাওয়ার জন্য হিজরত করেন। ’
২০২০ সালে সিলেট এমসি কলেজে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিশোধ হিসেবে গ্রেপ্তার রাফাতের নেতৃত্বে সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সিলেটের ‘আত তাকওয়া’ নামক মসজিদে ডা. রাফাত নিয়মিত সংগঠনের লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করতেন।
news24bd.tv/FA