বিচারকের ফেসবুক কমেন্টের নিন্দা জানাল ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

সংগৃহীত ছবি

বিচারকের ফেসবুক কমেন্টের নিন্দা জানাল ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাসান মাহমুদুল ইসলামের সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। ফেসবুকে দেয়া সেই বক্তব্যকে ধর্মীয় বিদ্বেষ হিসেবে দেখছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত এক খবরে আমরা মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন। নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জনাব হাসান মাহমুদুল ইসলাম তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি পোস্টে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ভারতের পরাজয়ের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে লিখেছেন- 'খুব শান্তি পেলাম, মালাউনরা হারলে আনন্দ পাই।

'

উল্লেখিত পোস্টটি এসেছিল এমরান নামক এক ব্যক্তির ফেইসবুক একাউন্ট থেকে। সেখানে লেখা ছিল 'ইন্ডিয়া বলছে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। ১০ উইকেট এ হার হা হা হা' উক্ত পোস্টে মন্তব্যের ঘরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জনাব হাসান মাহমুদুল ইসলাম মন্তব্যটি করেছেন বলে সংবাদে অভিযোগ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই করার ক্ষমতা আমাদের নেই বটে কিন্তু খবরটি দেশব্যাপী চাউর হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ফেইসবুক একাউন্টটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সেখানে উপরোক্ত জজ সাহেবের বিভিন্ন জেলায় থাকাকালীন অগণিত অনুষ্ঠানের, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত ছবি রয়েছে এবং তার বহু ঘনিষ্ঠজনের মন্তব্যও রয়েছে বিধায় অভিযোগটি অনুসন্ধানের দাবিদার।

খবরটি দেশব্যাপী বহুলভাবে প্রচারিত হওয়ার বেশ কয়েকদিন অতিক্রান্ত  হলেও জজের বা তার সেরেস্তা থেকে কোন প্রতিবাদ না আসায় এবং পুলিশে অভিযোগ না করায় জনমনে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে।

‘অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদটি এক অর্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে তাঁর এবং পূর্ণ জেলা ও দায়রা জজের বিচারিক ক্ষমতায় কোন পার্থক্য নেই। ফৌজদারি বিষয়ে তিনি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করার ক্ষমতাবান এবং দেওয়ানি বিষয়ে তার ক্ষমতা অসীম। তাই এ পদের ধারককে হতে হয় ধোয়া তুলসী পাতার মতোই পবিত্র এবং সাম্প্রদায়িকতা সহ সকল রিপুর ঊর্ধ্বে। এমতাবস্থায় অভিযোগটি সম্পর্কে তদন্ত অপরিহার্য।

বিবৃতিতে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, 'বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি জনাব হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জনাব আনিসুল হক এমপির নিকট আমাদের আবেদন এই যে, তাঁরা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দেবেন এবং উক্ত বিচারক যদি ফেসবুকে এ ধরনের কদর্য সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবেন। ’

সংগঠনের পক্ষে এ বিবৃতি প্রদান করেন লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অধ্যাপক অনুপম সেন, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফসহ আরও অনেকে।

news24bd.tv/FA