১২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে হানাদারদের ওপর আক্রমণ চালায় যৌথ বাহিনী

সংগৃহীত ছবি

১২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলে হানাদারদের ওপর আক্রমণ চালায় যৌথ বাহিনী

মাসুদ রানা

১২ ডিসেম্বর ১৯৭১। এই দিনে যৌথ বাহিনীর টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। ওই দিন সারা দিন ও রাতে 
যৌথ বাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর কাছে ধরাশয়ী হয়ে পর দিন ভোরে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।

 

ওই দিন ঢাকায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর অবস্থানের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রাখা হয়। অব্যাহত থাকে কারফিউ এবং ঘরে ঘরে তল্লাশি। এরই মধ্যে ১২ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় নরসিংদীতে পাকিস্তান দখলদাররা আত্মসমর্পণ করে। বিকেলে ভারতের আরও একটি ইউনিট ডেমরা ঘাট থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে এসে পৌঁছায়।

অন্যদিকে একের পর এক এলাকায় নাস্তানাবুদ হয়ে আল বদর আল-শামস বাহিনীর সহস্যরা বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা চালায়।  

১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা নামার আগে জামালপুর ও ময়মনসিংহের দিক থেকে জেনারেল নাগরার বাহিনী টাঙ্গাইলে প্যারাসুট ব্যাটালিয়ানের সঙ্গে যোগ দিয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

১৯৭১ সালের এদিনে হরিপুর শত্রুমুক্ত হয়। একই সঙ্গে হানাদারমুক্ত হয় নীলফামারী, গাইবান্ধা, নরসিংদী, সরিষাবাড়ী, ভেড়ামারা এবং শ্রীপুর। দিনাজপুর অঞ্চলের মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী খানসামা থানা আক্রমণ করে। যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ১৫ জন ও সাত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাদের হাতে এক মেজরসহ পাকবাহিনীর ১৯ জন ধরা পড়ে।

তৎকালিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার চালান কূটকৌশল অব্যাহত রাখেন। তবে তাতে খুব একটা সুবিধা হয়নি। পাকিস্তানের পরাজয় কেবল তখন সময়ের ব্যাপার। এদিন রাতে আল-বদর আল শামস কেন্দ্রীয় অধিনায়কদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়।