১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল রাজধানী দখল

সংগৃহীত ছবি

১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল রাজধানী দখল

মাসুদ রানা

১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর চারদিকে উড়তে থাকে বাঙালির বিজয় নিশান। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় শত শত পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে। এদিন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার কাছাকাছি চলে আসে। রাস্তায় নেমে আসে নিরস্ত্র জনতা।

 

১৯৭১ সালের এদিন মুক্তিযোদ্ধাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল রাজধানী ঢাকা পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করা। এদিন ভারতীয় বাহিনী উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে ঢাকার একেবারে দোরগোড়ায় এসে পড়ে। জেনারেল গান্ধর্ব নাগরার ব্রিগেড উত্তর দিক থেকে এগিয়ে আসে। পূর্ব থেকে আসে ৫৭ ডিভিশনের দুটো ব্রিগেড।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের কৌশল বুঝতে পেরে রণাঙ্গনে আরও তৎপর হয়ে উঠে মিত্রবাহিনী। বাংলার মুক্তিকামী দামালছেলেদের প্রতিরোধের মুখে একাত্তরের এই দিনে বগুড়ার কাহালু উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। হানাদার মুক্ত হয় মানিকগঞ্জ।

কৌশলগত কারণে মানিকগঞ্জ শত্রুদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মানিকগঞ্জের বিভিন্ন যুদ্ধে ৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এদিন থেকে রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

 প্রতি মুহূর্তে খবর আসতে থাকে ঢাকা ছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা মুক্ত। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এদিকে, পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় মরিয়া হয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তৃতীয়বারের মতো ভেটো দেয় রাশিয়া। আর প্রস্তাব নাকচ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে আন্তর্জাতিক বড় বাধা দূর হয়।

news24bd.tv/আজিজ