আর মাত্র একদিন বাকি। এরপরই ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে এ মহারণে কে জিতবে, কারা সোনালি ট্রফি উঁচিয়ে ধরবে- এ নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই ফুটবল সমর্থকদের। মরুর বুকে বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে আর একটি ম্যাচ জিততে হবে স্কালোনির দলের।
আর্জেন্টিনা শেষবার ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৮৬ সালে, দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে। এরপর ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও তৃতীয় তারাটি পাওয়া হয়নি আলবিসেলেস্তেদের। দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষা শেষে আরও একবার শিরোপা জেতার দ্বারপ্রান্তে তারা।
ইতালির নেপলস শহরে সিনাগ্রার জন্ম ১৯৮৬ সালে, তার বাবা যখন অনেকটা একা হাতে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতালেন, তার কয়েক মাস পরে। দীর্ঘদিন বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তার। তবে ২০০৪ সালের পর থেকে মোটামুটি কথা হতো। ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করতেন ম্যারাডোনা নিজেও। শেষদিকে দুজনের সম্পর্কও যাচ্ছিল দারুণ।
সেই সিনাগ্রা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ ফাইনালে দেখে বাবার প্রসঙ্গ টানলেন। তিনি বলেন, ‘আমি শিউর, বাবা থাকলে এই আর্জেন্টিনাকে নিয়ে অনেক খুশি হতেন। ওরা (আর্জেন্টিনা) খুব ভালো খেলছে। ’
সিনাগ্রা থাকেন ইতালিতেই। মাঝেমাঝে অস্ট্রেলিয়ায়ও যান তিনি। পিতৃসূত্রে আর্জেন্টিনার জন্য ভালো কিছুই কামনা করেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সবগুলো ম্যাচও দেখছেন।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি সবগুলো ম্যাচ দেখছি। আমি চাই জার্সিতে এবার তৃতীয় তারাটি যুক্ত হোক, ছেলেরা খুব ভালো খেলছে। দেশের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা দিচেছ, আশা করি এবার ভালো কিছুই হবে। ’
news24bd.tv/আলী